ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের।

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নারীরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় ‘বগুড়া জেলা পর্দানশীন নারী সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শতাধিক নারী অংশ নেন। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবির বদলে শুধু আঙুলের ছাপ দিয়ে নাগরিকের পরিচয় শনাক্তের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীদের পক্ষে মোছাম্মাত ওয়ালিদা খাতুন বলেন, বিগত ১৬ বছর পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ববঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তারা রাষ্ট্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। যোগ্য নাগরিক হওয়ার পরও ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় ১৬ বছর ধরে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। নাগরিকত্ব না থাকায় তারা রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ওয়ালিদা খাতুন আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে পুরুষের সামনে বাধ্যতামূলকভাবে মুখের পর্দা খুলে চেহারা দেখানো শুধু বিব্রতকর নয়, ইসলামবিরোধী কাজ। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি তুলে পর্দানশীন নারীরা গুনাহগার হতে চান না। এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ছবি সরিয়ে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে নারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজে নারীদের নিয়োগ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই পরিচয় শনাক্ত নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীরা শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি, ফরম পূরণসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের ছবি তোলার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি জানান। পরে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
৯১ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের

আপডেট সময় ১১:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবি বগুড়ার পর্দানশীন নারীদের।

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নারীরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় ‘বগুড়া জেলা পর্দানশীন নারী সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শতাধিক নারী অংশ নেন। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবির বদলে শুধু আঙুলের ছাপ দিয়ে নাগরিকের পরিচয় শনাক্তের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীদের পক্ষে মোছাম্মাত ওয়ালিদা খাতুন বলেন, বিগত ১৬ বছর পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ববঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তারা রাষ্ট্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। যোগ্য নাগরিক হওয়ার পরও ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় ১৬ বছর ধরে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। নাগরিকত্ব না থাকায় তারা রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ওয়ালিদা খাতুন আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে পুরুষের সামনে বাধ্যতামূলকভাবে মুখের পর্দা খুলে চেহারা দেখানো শুধু বিব্রতকর নয়, ইসলামবিরোধী কাজ। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি তুলে পর্দানশীন নারীরা গুনাহগার হতে চান না। এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ছবি সরিয়ে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে নারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজে নারীদের নিয়োগ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই পরিচয় শনাক্ত নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীরা শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি, ফরম পূরণসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের ছবি তোলার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি জানান। পরে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।