ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে সরানো হচ্ছে মন্ত্রীদের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

টানা সহিংস বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এনডিটিভি ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। কারফিউ অমান্য করে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সড়কে নামলে একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পার্লামেন্ট ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ অবস্থায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি সেনাপ্রধানও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানান। চাপের মুখে কেপি শর্মা ওলি অবশেষে দায়িত্ব ছাড়েন।

অন্যদিকে, বিক্ষোভে মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে বলে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে। এ কারণে নেপালের আকাশপথে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে তা সহিংস রূপ নেয়।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ব্যারিকেড ভাঙচুর এবং পার্লামেন্ট এলাকায় ঢোকার চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়। এ আন্দোলনকে অংশগ্রহণকারীরা ‘জেন-জি রেভল্যুশন’ নাম দিয়েছেন।

গত দুই দিনের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের দায় স্বীকার করে আগে থেকেই কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর আকার নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১২ বার পড়া হয়েছে

নেপালে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে সরানো হচ্ছে মন্ত্রীদের

আপডেট সময় ০৩:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টানা সহিংস বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এনডিটিভি ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। কারফিউ অমান্য করে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সড়কে নামলে একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পার্লামেন্ট ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ অবস্থায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি সেনাপ্রধানও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানান। চাপের মুখে কেপি শর্মা ওলি অবশেষে দায়িত্ব ছাড়েন।

অন্যদিকে, বিক্ষোভে মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে বলে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে। এ কারণে নেপালের আকাশপথে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে তা সহিংস রূপ নেয়।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ব্যারিকেড ভাঙচুর এবং পার্লামেন্ট এলাকায় ঢোকার চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়। এ আন্দোলনকে অংশগ্রহণকারীরা ‘জেন-জি রেভল্যুশন’ নাম দিয়েছেন।

গত দুই দিনের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের দায় স্বীকার করে আগে থেকেই কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর আকার নিয়েছে।