অপরাধীদের শাস্তি হতে হবে আইন অনুযায়ী: রুহুল কবির রিজভী
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপিও ন্যায়বিচার চায়। যারা অপরাধ করেছে, তারা যেন আইনের আওতায় আসে এবং যথাযথভাবে শাস্তি পায়—এটাই দলের প্রত্যাশা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রে চরম দলীয়করণ ঘটেছে। এ কারণেই প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অনেকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তার অভিযোগ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন, ক্ষমতার এই ‘জমিদারি’ আজীবন চলবে। তবে ৫ আগস্টের পর অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে, যদিও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল নয়।
রিজভী আরও জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ২৫ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেবে—দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন ঘোষণা পরিবেশ সংরক্ষণে দলের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিচার বিভাগ হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, কোনো দলীয় প্রভাব থাকবে না। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের প্রস্তাবও তারেক রহমানের বক্তব্যে উঠে এসেছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে নানা প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তিনি মনে করেন, বর্তমান সরকারের দলে যারা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবাধীন অবস্থায় আছেন, তাদের সরানো না গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। যারা অপরাধ করেছেন, তারা যেন আইনের মাধ্যমে শাস্তি পান। তবে ফ্যাসিবাদের সহায়কদের রেখে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই সনদে উল্লিখিত অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, কারণ তা ইতিমধ্যেই সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।