ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমেরিকায় ক্ষমতায় কে এলো সেটা বিষয় না, সম্পর্ক রাখাটাই জরুরি: পার্বত্য উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

আমেরিকায় ক্ষমতায় কে এলো সেটা বিষয় না, সম্পর্ক রাখাটাই জরুরি: পার্বত্য উপদেষ্টা।

আমেরিকাতে ক্ষমতায় কে এলো, কে এলো না সেটা বড় বিষয় নয়, আমাদের সম্পর্কটা ঠিক রাখাটাই জরুরি। সেভাবে আমরা নিজেরাই অগ্রসর হচ্ছি। একইভাবে আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে চিন্তাভাবনা করছি কীভাবে সম্পর্কে অগ্রসর হব, সবকিছুই ঠিকমতো চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

কাপ্তাই হ্রদে শুধু মৎস্যসম্পদ উন্নয়নই নয়; হ্রদের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয়দের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায়, সেই বিষয়ে প্রস্তাব ও পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদ খননের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বে ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতো, যা মাঠ পর্যায়ে ফলপ্রসূ হতো না, আমরা এই ধারা ভাঙতে চাই। স্থানীয় পরিকল্পনাগুলো মাঠ পর্যায়ে বসেই গ্রহণ করতে চাই।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, বিএফডিসি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবুজ্জাহের, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় বক্তারা কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ষাটের দশকে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর এখনো ড্রেজিং না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। হ্রদে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে এর আয়তন দিনদিন কমছে। কাপ্তাই হ্রদ এই এলাকার মানুষের জীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্যসম্পদ। পাশাপাশি উপজেলার সাথে যোগাযোগও ব্যাঘাত ঘটে। বক্তারা দ্রুত কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংসহ দখল, দুষণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান। 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
৭ বার পড়া হয়েছে

আমেরিকায় ক্ষমতায় কে এলো সেটা বিষয় না, সম্পর্ক রাখাটাই জরুরি: পার্বত্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

আমেরিকায় ক্ষমতায় কে এলো সেটা বিষয় না, সম্পর্ক রাখাটাই জরুরি: পার্বত্য উপদেষ্টা।

আমেরিকাতে ক্ষমতায় কে এলো, কে এলো না সেটা বড় বিষয় নয়, আমাদের সম্পর্কটা ঠিক রাখাটাই জরুরি। সেভাবে আমরা নিজেরাই অগ্রসর হচ্ছি। একইভাবে আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে চিন্তাভাবনা করছি কীভাবে সম্পর্কে অগ্রসর হব, সবকিছুই ঠিকমতো চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

কাপ্তাই হ্রদে শুধু মৎস্যসম্পদ উন্নয়নই নয়; হ্রদের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয়দের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায়, সেই বিষয়ে প্রস্তাব ও পরামর্শ দেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদ খননের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বে ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতো, যা মাঠ পর্যায়ে ফলপ্রসূ হতো না, আমরা এই ধারা ভাঙতে চাই। স্থানীয় পরিকল্পনাগুলো মাঠ পর্যায়ে বসেই গ্রহণ করতে চাই।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, বিএফডিসি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবুজ্জাহের, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় বক্তারা কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ষাটের দশকে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর এখনো ড্রেজিং না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। হ্রদে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে এর আয়তন দিনদিন কমছে। কাপ্তাই হ্রদ এই এলাকার মানুষের জীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্যসম্পদ। পাশাপাশি উপজেলার সাথে যোগাযোগও ব্যাঘাত ঘটে। বক্তারা দ্রুত কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংসহ দখল, দুষণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।