৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ২৩ অক্টোবর প্রথমবার তারেক রহমানের চাঁদাবাজির চার মামলা বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার (৫ জানুয়ারি) শুনানির শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, কিন্তু এই টাকা কোথায় গেছে তার কোনো উৎস মেলেনি। আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতকে জানান, এটি সেই মামলা, যে মামলায় গ্রেফতার করে কোমরে হাড় ভেঙে ফেলা হয়েছিল তারেক রহমানের। পরে চার মামলা বাতিলের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, আরও ১৮-১৯টি মামলা খারিজ হলে সব মামলা মুক্ত হবেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় সবাই, তবে মামলার ওপর তা নির্ভর করছে না।
তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কিছু মামলা হয়েছিল। যে মামলার এফআইঅরে তার নাম ছিল না। এরপরও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং হেয়প্রতিপ্রন্ন করতে এসব মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই মামলাগুলো হাইকোর্ট স্টে করেন, পরে রুল ইস্যু করেন। কয়েকমাস আগে আমরা রুলের শুনানি করি এবং হাইকোর্ট মামলাগুলো বাতিল করে দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু অপিল করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ দুপক্ষের শুনানি শেষে আপিল আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে বাতিলের রায় কার্যকর থাকল। এই রায় থেকে প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এক এগারোরা সরকার এরপর শেখ হাসিনার সরকার মিথ্যা মামলা করেছিল।’
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি।