ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরুল কায়েসের বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম-আশরাফুল

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ইমরুল কায়েসের বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম-আশরাফুল।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় লিগে ঢাকা-খুলনা ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন ইমরুল কায়েস। এ কথা অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতির পর খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ইমরুলকে সম্মাননা জানানো হয়। ইমরুল মাঠে নামার সময় তার সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিম ইকবাল।

জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন তামিমের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন ইমরুল কায়েস। শনিবার ইমরুল মাঠে নামার সময় তাকে সঙ্গ দেন তামিম ইকবাল। সে সময় তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। প্রথম শ্রেণির বিদায়ী ম্যাচে খেলতে নামার দিন দুজনকেই পাশে পেয়েছেন ইমরুল।

 

২০০৮ সালের অক্টোবরে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ইমরুল কায়েস। পরের মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্লুমফন্টেইন টেস্ট দিয়ে এই সংস্করণে অভিষেক হয় তার। তবে ২০০৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সে বছর ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের ম্যাচ দিয়েই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।
 
 
১৭ বছর পর আবারও সেই ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খুলনায় জার্সিতেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন ইমরুল। শনিবার মাঠে নামার সময় দুই দলের খেলোয়াড়েরা দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান। 
 
এরপর খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ মিঠুনরা। এ সময় মাঠে ছিলেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৩ টেস্টসহ মোট ৮৭ ম্যাচে ইমরুলের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন তামিম। আর আশরাফুল তার ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেক ম্যাচসহ ৭ ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন।
 
আশরাফুল এ দিন মিরপুরে এসেছিলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। বিপিএলের এই দলটির সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন তিনি। গ্লোবাল সুপার লিগ খেলতে যাওয়া দলটি আজ জার্সি উম্মোচন করেছে। আর অনুশীলন করতে নিয়মিতই মিরপুরে আসেন তামিম। 
 
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩৭ ম্যাচে ২০ সেঞ্চুরি ও ২৭ ফিফটিতে মোট ৭ হজার ৯৩০ রান করেছেন ইমরুল। ৩৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে তার মোট রান ১ হাজার ৭৯৭। ২০১৯ সালের নভেম্বরে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্টের পর এই সংস্করণে আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাকে। এখন অবশ্য খেলাই ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের খেলা চালিয়ে যাবেন বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:১৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
২৪ বার পড়া হয়েছে

ইমরুল কায়েসের বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম-আশরাফুল

আপডেট সময় ০৫:১৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ইমরুল কায়েসের বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম-আশরাফুল।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় লিগে ঢাকা-খুলনা ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন ইমরুল কায়েস। এ কথা অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতির পর খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ইমরুলকে সম্মাননা জানানো হয়। ইমরুল মাঠে নামার সময় তার সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিম ইকবাল।

জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন তামিমের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন ইমরুল কায়েস। শনিবার ইমরুল মাঠে নামার সময় তাকে সঙ্গ দেন তামিম ইকবাল। সে সময় তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। প্রথম শ্রেণির বিদায়ী ম্যাচে খেলতে নামার দিন দুজনকেই পাশে পেয়েছেন ইমরুল।

 

২০০৮ সালের অক্টোবরে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ইমরুল কায়েস। পরের মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্লুমফন্টেইন টেস্ট দিয়ে এই সংস্করণে অভিষেক হয় তার। তবে ২০০৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সে বছর ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের ম্যাচ দিয়েই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।
 
 
১৭ বছর পর আবারও সেই ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খুলনায় জার্সিতেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন ইমরুল। শনিবার মাঠে নামার সময় দুই দলের খেলোয়াড়েরা দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান। 
 
এরপর খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ মিঠুনরা। এ সময় মাঠে ছিলেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৩ টেস্টসহ মোট ৮৭ ম্যাচে ইমরুলের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন তামিম। আর আশরাফুল তার ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেক ম্যাচসহ ৭ ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন।
 
আশরাফুল এ দিন মিরপুরে এসেছিলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। বিপিএলের এই দলটির সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন তিনি। গ্লোবাল সুপার লিগ খেলতে যাওয়া দলটি আজ জার্সি উম্মোচন করেছে। আর অনুশীলন করতে নিয়মিতই মিরপুরে আসেন তামিম। 
 
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩৭ ম্যাচে ২০ সেঞ্চুরি ও ২৭ ফিফটিতে মোট ৭ হজার ৯৩০ রান করেছেন ইমরুল। ৩৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে তার মোট রান ১ হাজার ৭৯৭। ২০১৯ সালের নভেম্বরে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্টের পর এই সংস্করণে আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাকে। এখন অবশ্য খেলাই ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের খেলা চালিয়ে যাবেন বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।