ইলিশ কেনাবেচায় রেকর্ড, শেষ রাতে দাম ছুঁলো আকাশচুম্বী
ইলিশ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার ঠিক আগের রাতে খুলনার রূপসা পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড়। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে শেষ মুহূর্তে দাম কিছুটা কমে আসবে—এই আশায় অনেকেই বাজারে এলেও উল্টো দাম বেড়ে যায় কেজি প্রতি ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার রাতে সেই একই আকারের মাছের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা একদিন আগেও ছিলো ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০০–১ হাজার ৬০০ টাকা এবং ছোট আকারের (প্রায় ২৫০ গ্রাম) জাটকা ইলিশ ৬৫০–৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
দাম হঠাৎ বেড়ে গেলেও বাজারে জমজমাট কেনাবেচা লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকায় চাকরিরত তানভীর শেষ দিনে মাছ কিনতে এসেছিলেন ছুটিতে খুলনায়। তিনি বলেন, “প্রতিবারের মতো ভেবেছিলাম শেষ রাতে দাম কমে যাবে, কিন্তু এবার উল্টো দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে তদারকি দরকার।”
অন্যদিকে, অনেক ক্রেতা বেশি দামে হলেও ইলিশ কিনে খুশি হয়েছেন। মিস্ত্রিপাড়ার শামীমুর রহমান জানান, অতিথি আপ্যায়নের জন্য তিনি এক কেজি ওজনের একটি এবং ৮০০ গ্রাম ওজনের দুটি ইলিশ কিনেছেন। বজলুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “প্রতি বছরই শেষ দিনে বাজারে আসি। দাম বাড়লেও পরিবেশটা জমজমাট।”
ব্যবসায়ীরাও শেষ মুহূর্তে দারুণ বেচাকেনা করেছেন। আড়ৎদার মুসা হাওলাদার বলেন, “আজ চার মণ মতো ইলিশ বিক্রি করেছি। চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম থাকায় দামে সমন্বয় করতেই হয়েছে।”
রূপসা আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু হাওলাদার জানান, এক রাতেই প্রায় ৩ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হতে পারে বলে তারা আশা করছেন। মধ্যরাত পর্যন্ত এ কেনাবেচা চলবে।
















