ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

কিয়ামতের আলামত নিয়ে নবীজির সতর্কবার্তা ও দাজ্জালের আগমন সম্পর্কিত বর্ণনা

নিজস্ব সংবাদ :

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর উম্মতকে কিয়ামতের ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন। পবিত্র কোরআনেও আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের অতি নিকটবর্তী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। কোরআনে বলা হয়েছে—মানুষ এমন সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে যখন কেয়ামত হঠাৎ তাদের ওপর এসে পড়বে; প্রকৃতপক্ষে কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো ইতোমধ্যেই উপস্থিত হয়েছে। কেয়ামত এসে গেলে তখন মানুষের পক্ষে উপদেশ গ্রহণ করা আর সম্ভব হবে না (সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ১৮)।

নবী করিম (সা.) কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে যে বড় বড় আলামত দেখা দেবে, তার বেশ কিছু স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ও শেষ দিকের আলামত হলো দাজ্জালের প্রকাশ। হাদিসে বর্ণিত আছে, কেয়ামতের প্রায় ৪০ দিন আগে দাজ্জাল পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে এবং মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে নানা কৌশল অবলম্বন করবে। কোরআন-হাদিসে দাজ্জালের আবির্ভাবের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে, সে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা জান্নাত-জাহান্নামের দৃশ্য দেখাবে। হাদিসে আরও এসেছে—দ্রুতগামী বাতাস যেমন বৃষ্টিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়, দাজ্জালের গতিও তেমনই হবে (সহিহ মুসলিম, কিতাবুল ফিতান)।

সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন সাহাবিরা কিয়ামত নিয়ে আলোচনা করছেন—তখন রাসুল (সা.) এসে জানান, ১০টি বিশেষ আলামত দেখা না পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। সেই দশটি আলামত হলো—
১) ধোঁয়া বা দুখান
২) দাজ্জালের আগমন
৩) দাব্বাতুল আরদ নামে ভূগর্ভ থেকে আসা রহস্যময় প্রাণী
৪) পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়
৫) ইসা ইবনে মারইয়াম (আ.)-এর পুনরাগমন
৬) ইয়াজুজ-মাজুজের উত্থান
৭) পূর্ব অঞ্চলে ভূমিধস
৮) পশ্চিমে ভূমিধস
৯) আরব উপদ্বীপে ভূমিধস
১০) ইয়েমেন অঞ্চল থেকে এক আগুন বের হয়ে মানুষের সবাইকে সিরিয়ার দিকে চালিত করবে।

খ্যাতনামা আলেম শাইখ উছাইমীনকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়—এই বড় আলামতগুলো কি ধারাবাহিকভাবে ঘটবে? তিনি উত্তর দেন, কিছু আলামতের ক্রম জানা আছে, আবার কিছু আলামত সম্পর্কে নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা উল্লেখ নেই। যে আলামতগুলো সম্পর্কে ধারাবাহিকতার উল্লেখ পাওয়া যায়, সেগুলো হলো—দাজ্জালের আবির্ভাব, ঈসা (আ.)-এর আগমন এবং ইয়াজুজ-মাজুজের প্রকাশ। প্রথমে দাজ্জাল আসবে, এরপর ঈসা (আ.) অবতরণ করে তাকে হত্যা করবেন এবং এরপর ইয়াজুজ-মাজুজ বের হয়ে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
৪৮ বার পড়া হয়েছে

কিয়ামতের আলামত নিয়ে নবীজির সতর্কবার্তা ও দাজ্জালের আগমন সম্পর্কিত বর্ণনা

আপডেট সময় ০৫:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর উম্মতকে কিয়ামতের ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন। পবিত্র কোরআনেও আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের অতি নিকটবর্তী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। কোরআনে বলা হয়েছে—মানুষ এমন সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে যখন কেয়ামত হঠাৎ তাদের ওপর এসে পড়বে; প্রকৃতপক্ষে কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো ইতোমধ্যেই উপস্থিত হয়েছে। কেয়ামত এসে গেলে তখন মানুষের পক্ষে উপদেশ গ্রহণ করা আর সম্ভব হবে না (সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ১৮)।

নবী করিম (সা.) কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে যে বড় বড় আলামত দেখা দেবে, তার বেশ কিছু স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ও শেষ দিকের আলামত হলো দাজ্জালের প্রকাশ। হাদিসে বর্ণিত আছে, কেয়ামতের প্রায় ৪০ দিন আগে দাজ্জাল পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে এবং মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে নানা কৌশল অবলম্বন করবে। কোরআন-হাদিসে দাজ্জালের আবির্ভাবের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে, সে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা জান্নাত-জাহান্নামের দৃশ্য দেখাবে। হাদিসে আরও এসেছে—দ্রুতগামী বাতাস যেমন বৃষ্টিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়, দাজ্জালের গতিও তেমনই হবে (সহিহ মুসলিম, কিতাবুল ফিতান)।

সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন সাহাবিরা কিয়ামত নিয়ে আলোচনা করছেন—তখন রাসুল (সা.) এসে জানান, ১০টি বিশেষ আলামত দেখা না পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না। সেই দশটি আলামত হলো—
১) ধোঁয়া বা দুখান
২) দাজ্জালের আগমন
৩) দাব্বাতুল আরদ নামে ভূগর্ভ থেকে আসা রহস্যময় প্রাণী
৪) পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়
৫) ইসা ইবনে মারইয়াম (আ.)-এর পুনরাগমন
৬) ইয়াজুজ-মাজুজের উত্থান
৭) পূর্ব অঞ্চলে ভূমিধস
৮) পশ্চিমে ভূমিধস
৯) আরব উপদ্বীপে ভূমিধস
১০) ইয়েমেন অঞ্চল থেকে এক আগুন বের হয়ে মানুষের সবাইকে সিরিয়ার দিকে চালিত করবে।

খ্যাতনামা আলেম শাইখ উছাইমীনকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়—এই বড় আলামতগুলো কি ধারাবাহিকভাবে ঘটবে? তিনি উত্তর দেন, কিছু আলামতের ক্রম জানা আছে, আবার কিছু আলামত সম্পর্কে নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা উল্লেখ নেই। যে আলামতগুলো সম্পর্কে ধারাবাহিকতার উল্লেখ পাওয়া যায়, সেগুলো হলো—দাজ্জালের আবির্ভাব, ঈসা (আ.)-এর আগমন এবং ইয়াজুজ-মাজুজের প্রকাশ। প্রথমে দাজ্জাল আসবে, এরপর ঈসা (আ.) অবতরণ করে তাকে হত্যা করবেন এবং এরপর ইয়াজুজ-মাজুজ বের হয়ে আসবে।