ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo হাত-পা অতিরিক্ত ঘামে? জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার Logo পূর্ব কঙ্গোর গির্জায় ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ২১ জন Logo চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর ভোকাল রাতুল আর নেই Logo গ্রিসে ইসরায়েলি পর্যটকের কানে হামলা, অভিযুক্ত সিরীয় নাগরিক Logo ‘জুলাই বিপ্লব শুধু অতীত নয়, এটি চলমান সংগ্রাম’ Logo দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এখন সময়ের দাবি: ফখরুল Logo গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল Logo নাহিদ ইসলামের দাবি: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর

কীভাবে আ.লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে, জানালেন প্রেস সচিব

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

কীভাবে আ.লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে, জানালেন প্রেস সচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার এবং খুন, তাণ্ডব ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরতে পারবে না।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ বার্তা দেন তিনি।

 

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যেসব বিদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন যে, অপরাধীরা যদি তাদের অপরাধের দায় না নেয় বা হত্যাকাণ্ড, তাণ্ডব ও গুমের কথা স্বীকার না করে, তাহলে কীভাবে সমঝোতা সম্ভব। বরং তারা আগে সংস্কার ও দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিকঠাক করার বিষয়ে ব্যাপক সমর্থন জানিয়েছেন।’
 
শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির হত্যাযজ্ঞের মদদদাতা সাংবাদিক ও সমর্থকরা একটা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন যে, দেশে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হলেই তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারবেন। দুঃখিত, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার এবং খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এমনটা ঘটবে না।
 
 
প্রেস সচিব বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের সদস্য এবং এর নির্দেশ বাস্তবায়নকারীদের বিচার হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর প্রতিবেদনগুলো স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে, জুলাই ও আগস্টের গণআন্দোলনের সময় নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের কীভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
 
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমি দেশের জনগণকে যাত্রাবাড়ী হত্যাকাণ্ড এবং রিদয়ের হত্যাকাণ্ডের ওপর তথ্যচিত্র দেখার জন্য অনুরোধ করব। আরও তথ্যচিত্র আসছে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে সংঘটিত অপরাধ তুলে ধরার জন্য তথ্যচিত্র তৈরি করছে। এছাড়া নতুন বেশ কয়েকটি নাগরিক গোষ্ঠী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে বুদ্ধিমত্তার সাথে নথিভুক্ত করছে।’
 
 
বছর বছর আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং শেখ মুজিবের একদলীয় শাসনের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন শফিকুল আলম। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, বর্তমান প্রজন্ম এবার জেগে উঠেছে এবং তারা স্বৈরশাসনের প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা প্রতিদিন পুরনো স্মৃতিকে সতেজ করছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
৮৩ বার পড়া হয়েছে

কীভাবে আ.লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে, জানালেন প্রেস সচিব

আপডেট সময় ১১:০০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

কীভাবে আ.লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে, জানালেন প্রেস সচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার এবং খুন, তাণ্ডব ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরতে পারবে না।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ বার্তা দেন তিনি।

 

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যেসব বিদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন যে, অপরাধীরা যদি তাদের অপরাধের দায় না নেয় বা হত্যাকাণ্ড, তাণ্ডব ও গুমের কথা স্বীকার না করে, তাহলে কীভাবে সমঝোতা সম্ভব। বরং তারা আগে সংস্কার ও দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিকঠাক করার বিষয়ে ব্যাপক সমর্থন জানিয়েছেন।’
 
শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির হত্যাযজ্ঞের মদদদাতা সাংবাদিক ও সমর্থকরা একটা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন যে, দেশে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হলেই তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারবেন। দুঃখিত, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার এবং খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এমনটা ঘটবে না।
 
 
প্রেস সচিব বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের সদস্য এবং এর নির্দেশ বাস্তবায়নকারীদের বিচার হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর প্রতিবেদনগুলো স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে, জুলাই ও আগস্টের গণআন্দোলনের সময় নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের কীভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’
 
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমি দেশের জনগণকে যাত্রাবাড়ী হত্যাকাণ্ড এবং রিদয়ের হত্যাকাণ্ডের ওপর তথ্যচিত্র দেখার জন্য অনুরোধ করব। আরও তথ্যচিত্র আসছে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে সংঘটিত অপরাধ তুলে ধরার জন্য তথ্যচিত্র তৈরি করছে। এছাড়া নতুন বেশ কয়েকটি নাগরিক গোষ্ঠী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে বুদ্ধিমত্তার সাথে নথিভুক্ত করছে।’
 
 
বছর বছর আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং শেখ মুজিবের একদলীয় শাসনের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন শফিকুল আলম। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, বর্তমান প্রজন্ম এবার জেগে উঠেছে এবং তারা স্বৈরশাসনের প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা প্রতিদিন পুরনো স্মৃতিকে সতেজ করছে।