বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্রদলকর্মী জসিমউদ্দীনকে গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে জসিম বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন। ছাত্রদল তার খুনের ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ও উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত দুর্বৃত্তদের হাতে খুনের শিকার হন। তারা দুজনই গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।
ছাত্র ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করে গুপ্তহত্যার মিশনে নেমেছে বলে আশঙ্কা করছে ছাত্রদল। পরপর কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী একইভাবে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এছাড়া আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামিরা বহাল তবিয়তে পালিয়ে থেকে একে একে দেশ ছেড়েছে। কিন্তু সরকার নির্বিকার।’
সরকার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করছে না দাবি করে তারা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে, আবাসিক হলে, রাস্তাঘাটে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জনসম্মুখে অবস্থান করছে, মিছিল-মিটিং করছে। কিন্তু সরকার তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ছাত্র-জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাই।’