ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

ছাতকে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বোনের মাদরাসায় লুটপাট ও দখলচেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বোনের স্থাপিত মাদরাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর করা এবং জবরদখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রবাসী বোন যুক্তরাজ্য থেকে সম্প্রতি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী দিলারা বেগম ঝর্ণা (৫০) ছাতকের সুহিতপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর মেয়ে।

লিখিত অভিযোগে দিলারা উল্লেখ করেন- সুহিতপুরে তাঁর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ও ক্রয়কৃত মোট ১৮ শতক জমির উপর ‘হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানা’ নামে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। মাদরাসা পরিচালনার স্বার্থে তিনি মাদরাসা ভবনে ৬টি ইউনিট ও ৪টি দোকানকোঠা করে ভাড়া দিয়েছেন। এসবের ভাড়াবাবদ পাওয়া টাকায় মাদরাসা পরিচালনার ব্যয় সংকুলান না হওয়ায় দিলারা ব্যক্তিগতভাবেও প্রতি মাসে এ মাদরাসায় আর্থিক সহযোগিতা করেন। কিন্তু সম্প্রতি এ মাদরাসা ও মাদরাসার জমি এবং স্থাপনার ভাড়ার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে তাঁর আপন দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা (৫৫) ও ইউসুফ আলী মোহনের (৬০)। এরই জের ধরে গত ১৮ আগস্ট রাতে এই দুজন ও ইউসুফ আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা এমদাদ (৩০) তাদের সহযোগী ৮-১০ জনকে নিয়ে মাদরাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এসময় মাদারাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের হুমকিও দিয়ে আসেন হামলাকারীরা।

পরে আগস্ট মাসের ভাড়াবাবদ ৫৭ হাজার টাকা ভাড়াটেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে আসেন অভিযুক্তরা।

এ অবস্থায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা-শঙ্কায় রয়েছেন দিলারা বেগম। তাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা ও ইউসুফ আলী মোহন এবং ছাত্রলীগ নেতা এমদাদকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী নারী।

লিখিত অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে ছাতক থানার এস.আই আব্দুস সাত্তার বলেন- অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে পরে জানতে পেরেছি- বিষয়টি ভাই-বোনদের মাঝে মিটমাট হয়ে গেছে এবং ওই প্রবাসী নারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তবে প্রবাসী দিলারা বেগম ঝর্ণা বলেন- মিটমাটের কথা সত্যি নয়। অভিযুক্তরা আবারও মাদরাসায় হামলা বা দখলচেষ্টা করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
৯৮ বার পড়া হয়েছে

ছাতকে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বোনের মাদরাসায় লুটপাট ও দখলচেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জের ছাতকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বোনের স্থাপিত মাদরাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর করা এবং জবরদখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রবাসী বোন যুক্তরাজ্য থেকে সম্প্রতি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী দিলারা বেগম ঝর্ণা (৫০) ছাতকের সুহিতপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর মেয়ে।

লিখিত অভিযোগে দিলারা উল্লেখ করেন- সুহিতপুরে তাঁর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ও ক্রয়কৃত মোট ১৮ শতক জমির উপর ‘হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানা’ নামে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। মাদরাসা পরিচালনার স্বার্থে তিনি মাদরাসা ভবনে ৬টি ইউনিট ও ৪টি দোকানকোঠা করে ভাড়া দিয়েছেন। এসবের ভাড়াবাবদ পাওয়া টাকায় মাদরাসা পরিচালনার ব্যয় সংকুলান না হওয়ায় দিলারা ব্যক্তিগতভাবেও প্রতি মাসে এ মাদরাসায় আর্থিক সহযোগিতা করেন। কিন্তু সম্প্রতি এ মাদরাসা ও মাদরাসার জমি এবং স্থাপনার ভাড়ার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে তাঁর আপন দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা (৫৫) ও ইউসুফ আলী মোহনের (৬০)। এরই জের ধরে গত ১৮ আগস্ট রাতে এই দুজন ও ইউসুফ আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা এমদাদ (৩০) তাদের সহযোগী ৮-১০ জনকে নিয়ে মাদরাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এসময় মাদারাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের হুমকিও দিয়ে আসেন হামলাকারীরা।

পরে আগস্ট মাসের ভাড়াবাবদ ৫৭ হাজার টাকা ভাড়াটেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে আসেন অভিযুক্তরা।

এ অবস্থায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা-শঙ্কায় রয়েছেন দিলারা বেগম। তাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা ও ইউসুফ আলী মোহন এবং ছাত্রলীগ নেতা এমদাদকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী নারী।

লিখিত অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে ছাতক থানার এস.আই আব্দুস সাত্তার বলেন- অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে পরে জানতে পেরেছি- বিষয়টি ভাই-বোনদের মাঝে মিটমাট হয়ে গেছে এবং ওই প্রবাসী নারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তবে প্রবাসী দিলারা বেগম ঝর্ণা বলেন- মিটমাটের কথা সত্যি নয়। অভিযুক্তরা আবারও মাদরাসায় হামলা বা দখলচেষ্টা করতে পারে।