ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo অবৈধ নির্বাচনের মেয়র হতে চাইলে সেটা কি বৈধ হয়, প্রশ্ন সারজিসের Logo এনবিআর দুই ভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Logo অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান নিয়ে জনগণের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে: তারেক রহমান Logo ফের বিসিবিতে দুদকের অভিযান Logo আছিয়া হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড, খালাস ৩ Logo জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশি বাধা, সাংবাদিকসহ আহত ৩৮ Logo সাম্য হত্যা: ঢাবিতে বৃহস্পতিবার শোক, আধাবেলা ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত Logo জুনের মধ্যে বিদেশি ঋণের সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার আসবে: গভর্নর Logo জৈন্তাপুরে জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে চেক ও স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ Logo আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

ছাতকে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা, পুলিশের আক্রমণের অভিযোগ

অমিত আচার্জী

ছবি রিপোর্টার অমিত আচার্জী

**ছাতকে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা, পুলিশের আক্রমণের অভিযোগ**

গত শুক্রবার সুনামগঞ্জের ছাতকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের আক্রমণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিএনপির ছাত্রদল নেতা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল আলম ফাবির। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সেদিনের সংঘর্ষে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং কারা হেলমেট পরে চাপাতি ও রামদা নিয়ে দুই তরুণ, নাহিদ ও ফাবিরকে মারধর করেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, ছাতক কলেজ ছাত্রলীগের বিবদমান চারটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে সরাসরি অংশ নেয়। সংঘর্ষে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের অনেকেই “জয় বাংলা” স্লোগান দিতে শোনা গেছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়, কারণ “জয় বাংলা” এখন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের ফলে সড়ক অবরোধ হলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা মিছিল ও সমাবেশ চালিয়ে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়, ফলে তিন দিক থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা যৌথভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অযাচিত হামলা চালিয়েছে। এদিকে সংঘর্ষে তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হন, যার মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল মুদ্দাসির আহমদ গুলিবিদ্ধ হন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়ভাবে প্রশ্ন উঠেছে, ছাতক কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা কি স্থানীয় নেতা আবুল কালাম চৌধুরীর হুকুমে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছিলেন? ঘটনা তদন্তাধীন থাকলেও পরিস্থিতির উত্তেজনা এখনো প্রশমিত হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৫২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
১৮৭ বার পড়া হয়েছে

ছাতকে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা, পুলিশের আক্রমণের অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:৫২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

**ছাতকে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা, পুলিশের আক্রমণের অভিযোগ**

গত শুক্রবার সুনামগঞ্জের ছাতকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের আক্রমণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিএনপির ছাত্রদল নেতা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল আলম ফাবির। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সেদিনের সংঘর্ষে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং কারা হেলমেট পরে চাপাতি ও রামদা নিয়ে দুই তরুণ, নাহিদ ও ফাবিরকে মারধর করেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, ছাতক কলেজ ছাত্রলীগের বিবদমান চারটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে সরাসরি অংশ নেয়। সংঘর্ষে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের অনেকেই “জয় বাংলা” স্লোগান দিতে শোনা গেছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়, কারণ “জয় বাংলা” এখন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের ফলে সড়ক অবরোধ হলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা মিছিল ও সমাবেশ চালিয়ে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়, ফলে তিন দিক থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা যৌথভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অযাচিত হামলা চালিয়েছে। এদিকে সংঘর্ষে তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হন, যার মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল মুদ্দাসির আহমদ গুলিবিদ্ধ হন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়ভাবে প্রশ্ন উঠেছে, ছাতক কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা কি স্থানীয় নেতা আবুল কালাম চৌধুরীর হুকুমে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছিলেন? ঘটনা তদন্তাধীন থাকলেও পরিস্থিতির উত্তেজনা এখনো প্রশমিত হয়নি।