ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলে বৃহত্তম বিক্ষোভ: গাজায় বন্দিদের মুক্তিতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চাইলেন স্বজনেরা Logo পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে ১২ জন আটক, জুয়া সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ মোবাইল জব্দ Logo ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের মন্তব্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিশ্লেষকরা—পুতিনের সুরই কি শোনা যাচ্ছে? Logo ডিবির সাবেক প্রধান হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত Logo মৎস্য খাতে উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: মাহমুদুরের পক্ষ থেকে খালাস চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ, রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: মাহমুদুরের পক্ষ থেকে খালাস চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ, রায় ১০ ফেব্রুয়ারি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষ থেকে খালাস চেয়ে আবেদনের ওপর যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন আদালত। এর আগে গতবছরের ৩ অক্টোবর এ মামলায় জামিন পান মাহমুদুর রহমান।

 

এ মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদুর রহমান গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার পক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার আদেশ দেন আদালত।
 
জানা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের আলাদা দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
 
 
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
 
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
 
আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলেও বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
 
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
 
এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেন মাহমুদুর রহমান।
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:০৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
১১৭ বার পড়া হয়েছে

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: মাহমুদুরের পক্ষ থেকে খালাস চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ, রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

আপডেট সময় ১০:০৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: মাহমুদুরের পক্ষ থেকে খালাস চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ, রায় ১০ ফেব্রুয়ারি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষ থেকে খালাস চেয়ে আবেদনের ওপর যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন আদালত। এর আগে গতবছরের ৩ অক্টোবর এ মামলায় জামিন পান মাহমুদুর রহমান।

 

এ মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদুর রহমান গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার পক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার আদেশ দেন আদালত।
 
জানা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের আলাদা দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
 
 
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
 
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
 
আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলেও বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
 
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
 
এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেন মাহমুদুর রহমান।