মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিপীড়তদের গণজমায়েতে অংশ নিয়ে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
মায়ের ডাক সংগঠনের আয়োজনে এই গণজমায়েতে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, গুম কমিশনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।
সারজিস বলেন, `পুলিশকে টিস্যুর মতো ব্যবহার করেছে আওয়ামী সরকার। তবে দল-মত নির্বিশেষে সবাই যখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে, তখনই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখনও জুলাই আন্দোলন ঘিরে মামলা বাণিজ্য হচ্ছে। তবে আমরা সেসব সফল হতে দেবো না।’
তিনি আরও বলেন, `জনগণের সঙ্গে না থাকলে হাসিনার মতো অবস্থা হবে। এখন আগের মতো আর অসমতার সম্পর্ক ভারতের সঙ্গে নয়। কোনো ধর্ম বা জাতির নামে কেউ উগ্রবাদী কিছু করার করার চেষ্টা করলে সেটা আমরা সফল হতে দেবো না। সবাই মিলে রুখে দেবো। আমরা কাউকে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সুযোগ দেবো না।’
এদিকে গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, ক্রসফায়ার, পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর গণহত্যা, মোদিবিরোধী আন্দোলন, ডিএসএসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে হওয়া ফ্যাসিবাদী জুলুমের প্রতিবাদে গণজমায়েতে হাজারো নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে হাজির হয়েছেন ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে নিজেদের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ এবং বিচারের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন তারা। এতে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।