ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo  তারেক রহমানের পক্ষে বগুড়া-৬ আসনের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন Logo সিইসির সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের বৈঠক সম্পন্ন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা Logo নজরুল সমাধিসৌধে ওসমান হাদির পাশাপাশি যেসব বিশিষ্টজন শায়িত Logo সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারার আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

আতাউর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান  উল্লেখ থাকতে হবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ছিল। জুলাই বিপ্লবে ৭০ জনের বেশি হাহেজ, আলেম শাহাদতবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনে ইসলামপন্থিদের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া দেশের আলেম সমাজ গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কাজেই জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের অবদানের উল্লখ না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মুফতি অলিউল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি  ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত করে
দেশকে বাঁচাতে হলে ভারতীয় এজেন্টদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্য শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিপ্লবী সরকারের আমলে সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার এসে জনগণের ওপর আবার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর দোষ চাপাবে বিগত সরকারের। তাই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
১২৪ বার পড়া হয়েছে

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান

আপডেট সময় ০৯:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারার আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

আতাউর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান  উল্লেখ থাকতে হবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ছিল। জুলাই বিপ্লবে ৭০ জনের বেশি হাহেজ, আলেম শাহাদতবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনে ইসলামপন্থিদের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া দেশের আলেম সমাজ গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কাজেই জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের অবদানের উল্লখ না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মুফতি অলিউল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি  ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত করে
দেশকে বাঁচাতে হলে ভারতীয় এজেন্টদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্য শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিপ্লবী সরকারের আমলে সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার এসে জনগণের ওপর আবার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর দোষ চাপাবে বিগত সরকারের। তাই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।