ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল Logo নাহিদ ইসলামের দাবি: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় চীনের বিশেষ মেডিকেল টিম Logo বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকিরের ফিউনারেল প্যারেড ও জানাজা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান নয় — জানাল আইএসপিআর Logo মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা Logo উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা: উদ্ধার তৎপরতা আপাতত শেষ, পুনরায় শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল থেকে Logo “নিজের কাছেই ব্যর্থ, পরিবারগুলিকে কী বলব?”—বিমানের দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়লেন ইউনূস

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারার আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

আতাউর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান  উল্লেখ থাকতে হবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ছিল। জুলাই বিপ্লবে ৭০ জনের বেশি হাহেজ, আলেম শাহাদতবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনে ইসলামপন্থিদের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া দেশের আলেম সমাজ গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কাজেই জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের অবদানের উল্লখ না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মুফতি অলিউল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি  ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত করে
দেশকে বাঁচাতে হলে ভারতীয় এজেন্টদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্য শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিপ্লবী সরকারের আমলে সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার এসে জনগণের ওপর আবার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর দোষ চাপাবে বিগত সরকারের। তাই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
৬৭ বার পড়া হয়েছে

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান

আপডেট সময় ০৯:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারার আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

আতাউর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান  উল্লেখ থাকতে হবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ছিল। জুলাই বিপ্লবে ৭০ জনের বেশি হাহেজ, আলেম শাহাদতবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনে ইসলামপন্থিদের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া দেশের আলেম সমাজ গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে। কাজেই জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের অবদানের উল্লখ না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মুফতি অলিউল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি  ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অব.) আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত করে
দেশকে বাঁচাতে হলে ভারতীয় এজেন্টদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্য শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিপ্লবী সরকারের আমলে সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার এসে জনগণের ওপর আবার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর দোষ চাপাবে বিগত সরকারের। তাই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।