ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপ, স্থানীয় বিএনপির মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। অবিলম্বে এই হামলায় জড়িতের গ্রেফতারের দাবিও জানান তারা।

 

রোববার (১৩ অক্টোবর) তাঁতীবাজারে মোড়ে কোতোয়ালি থানা এলাকার বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশো নেতাকর্মী মানববন্ধন করেন।

 

তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপে ১১ অক্টোবর রাতে হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তারা অভিযোগ করেন, এই হামলা হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাওয়া একটি মহল পরিকল্পিতভাবে করেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও হামলা চালিয়ে ইস্যু তৈরী কারে যারা অপরাজনীতি করে আসছেন, তাতীঁবাজারের পূজামণ্ডপে তারাই হামলা করেছেন। আর এসব হামলার মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
 
 
মানববন্ধনে উপস্থিত ঢাকা মহানগর শ্রমিক দলের সভাপিত সুমন ভূইয়া বলেন,  

স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলেও তার দোসররা এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছে। স্বৈরাচার পতনের পর থেকেই তারা নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এখন তারা আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশ অস্থিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের এসব অপচেষ্টা আমরা হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলেই রুখে দেবো।

 

কোতোয়ালি থানার ৩৬, ৩৭ এবং ৩২ ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের পুরান ঢাকায় হিন্দু-মুসলিমরা মিলে খুব সুন্দরভাবে বসবাস করাটাই আমাদের ঐতিহ্য। এটাই আমাদের সৌন্দর্য্য। তাদের পূজা উৎসবকে আমরা সবাই মিলে উদ্‌যাপন করে আসছি। আর আমাদের ঈদসহ ধর্মীয় উৎসবেও তাদের অংশগ্রহণ আমাদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে আসছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের এই বন্ধন অটুট রয়েছে। তবে একটি রাজনৈতিক দল দেশকে অস্থিতিশীল করতেই আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাতীঁবাজারের পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনাও সেই মহলটিও ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওয়তায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।’
 
 
মানববন্ধনে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁতীবাজার এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারাও এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
৪ বার পড়া হয়েছে

তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপ, স্থানীয় বিএনপির মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৭:০৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। অবিলম্বে এই হামলায় জড়িতের গ্রেফতারের দাবিও জানান তারা।

 

রোববার (১৩ অক্টোবর) তাঁতীবাজারে মোড়ে কোতোয়ালি থানা এলাকার বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশো নেতাকর্মী মানববন্ধন করেন।

 

তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপে ১১ অক্টোবর রাতে হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তারা অভিযোগ করেন, এই হামলা হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাওয়া একটি মহল পরিকল্পিতভাবে করেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও হামলা চালিয়ে ইস্যু তৈরী কারে যারা অপরাজনীতি করে আসছেন, তাতীঁবাজারের পূজামণ্ডপে তারাই হামলা করেছেন। আর এসব হামলার মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
 
 
মানববন্ধনে উপস্থিত ঢাকা মহানগর শ্রমিক দলের সভাপিত সুমন ভূইয়া বলেন,  

স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলেও তার দোসররা এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছে। স্বৈরাচার পতনের পর থেকেই তারা নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এখন তারা আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশ অস্থিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের এসব অপচেষ্টা আমরা হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলেই রুখে দেবো।

 

কোতোয়ালি থানার ৩৬, ৩৭ এবং ৩২ ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের পুরান ঢাকায় হিন্দু-মুসলিমরা মিলে খুব সুন্দরভাবে বসবাস করাটাই আমাদের ঐতিহ্য। এটাই আমাদের সৌন্দর্য্য। তাদের পূজা উৎসবকে আমরা সবাই মিলে উদ্‌যাপন করে আসছি। আর আমাদের ঈদসহ ধর্মীয় উৎসবেও তাদের অংশগ্রহণ আমাদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে আসছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের এই বন্ধন অটুট রয়েছে। তবে একটি রাজনৈতিক দল দেশকে অস্থিতিশীল করতেই আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাতীঁবাজারের পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনাও সেই মহলটিও ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওয়তায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।’
 
 
মানববন্ধনে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁতীবাজার এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারাও এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।