ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

তারেক রহমান বললেন, ‘আম্মা বাসায় হাঁস-মুরগি-ছাগলও রাখতেন’

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে তিনি সংস্কার, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়েও মত দেন। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি তার পরিবারের পোষা প্রাণীদের প্রসঙ্গও তোলেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগেই আলোচনা হয়েছিল।

প্রাণীপ্রেম প্রসঙ্গে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, “প্রথমেই একটা বিষয় পরিষ্কার করি—যে বিড়ালটিকে অনেকে আমার বলে মনে করেন, সেটা আসলে আমার মেয়ের। এখন অবশ্য ওটা সবারই হয়ে গেছে। আমরা সবাই ওকে ভালোবাসি।”

তিনি আরও স্মৃতিচারণ করে বলেন, “শৈশবে আমি আর আমার ভাইয়ের একটি ছোট কুকুর ছিল। আমাদের আম্মা বাসায় হাঁস-মুরগি, এমনকি কয়েকটি ছাগলও পালন করতেন। কবুতর আর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ছিল বড় খাঁচায়, আরেক খাঁচায় ছিল একটি ময়না পাখি—যেটি আমরা বরিশাল থেকে এনেছিলাম। সেই ময়নাটা বরিশালির ভাষায় কথা বলতও।”

তারেক রহমান জানান, প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা তার জীবনের নতুন কিছু নয়, বরং শৈশব থেকেই এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। “এই বিষয়গুলো হঠাৎ করে আমার জীবনে আসেনি,” তিনি বলেন। “আমার পরিবার বহু বছর ধরেই প্রাণী-পাখির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল। এখন হয়তো এটি বেশি দৃশ্যমান।”

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও তিনি প্রাণীদের যত্ন নেওয়াকে দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। “আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব করেছেন,” বলেন তারেক রহমান। “তাই তাঁর সৃষ্টি—প্রকৃতি ও প্রাণ—সবকিছুর প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।”

তিনি আরও যোগ করেন, “প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই নেচার ও এনভায়রনমেন্ট রক্ষা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই জরুরি।”

সাক্ষাৎকারের শুরুতে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া নিয়ে আলাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই ১৭ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, এখানকার ওয়েদারও বদলে গেছে কিছুটা। বাংলাদেশেও আমরা দূষণ নিয়ে খবর দেখি—ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ।”

তিনি উল্লেখ করেন, “একটি দেশের মোট এলাকার অন্তত ২৫ শতাংশে বনভূমি থাকা উচিত, কিন্তু বাংলাদেশে এখন তা মাত্র ১২ শতাংশের মতো। এটি খুবই উদ্বেগজনক। তাই পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার পাশাপাশি প্রাণীদের যত্ন নেওয়াও আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
১০৫ বার পড়া হয়েছে

তারেক রহমান বললেন, ‘আম্মা বাসায় হাঁস-মুরগি-ছাগলও রাখতেন’

আপডেট সময় ০২:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে তিনি সংস্কার, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়েও মত দেন। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি তার পরিবারের পোষা প্রাণীদের প্রসঙ্গও তোলেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগেই আলোচনা হয়েছিল।

প্রাণীপ্রেম প্রসঙ্গে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, “প্রথমেই একটা বিষয় পরিষ্কার করি—যে বিড়ালটিকে অনেকে আমার বলে মনে করেন, সেটা আসলে আমার মেয়ের। এখন অবশ্য ওটা সবারই হয়ে গেছে। আমরা সবাই ওকে ভালোবাসি।”

তিনি আরও স্মৃতিচারণ করে বলেন, “শৈশবে আমি আর আমার ভাইয়ের একটি ছোট কুকুর ছিল। আমাদের আম্মা বাসায় হাঁস-মুরগি, এমনকি কয়েকটি ছাগলও পালন করতেন। কবুতর আর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ছিল বড় খাঁচায়, আরেক খাঁচায় ছিল একটি ময়না পাখি—যেটি আমরা বরিশাল থেকে এনেছিলাম। সেই ময়নাটা বরিশালির ভাষায় কথা বলতও।”

তারেক রহমান জানান, প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা তার জীবনের নতুন কিছু নয়, বরং শৈশব থেকেই এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। “এই বিষয়গুলো হঠাৎ করে আমার জীবনে আসেনি,” তিনি বলেন। “আমার পরিবার বহু বছর ধরেই প্রাণী-পাখির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল। এখন হয়তো এটি বেশি দৃশ্যমান।”

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও তিনি প্রাণীদের যত্ন নেওয়াকে দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। “আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব করেছেন,” বলেন তারেক রহমান। “তাই তাঁর সৃষ্টি—প্রকৃতি ও প্রাণ—সবকিছুর প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।”

তিনি আরও যোগ করেন, “প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই নেচার ও এনভায়রনমেন্ট রক্ষা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই জরুরি।”

সাক্ষাৎকারের শুরুতে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া নিয়ে আলাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই ১৭ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, এখানকার ওয়েদারও বদলে গেছে কিছুটা। বাংলাদেশেও আমরা দূষণ নিয়ে খবর দেখি—ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ।”

তিনি উল্লেখ করেন, “একটি দেশের মোট এলাকার অন্তত ২৫ শতাংশে বনভূমি থাকা উচিত, কিন্তু বাংলাদেশে এখন তা মাত্র ১২ শতাংশের মতো। এটি খুবই উদ্বেগজনক। তাই পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার পাশাপাশি প্রাণীদের যত্ন নেওয়াও আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”