ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :

নরসিংদী আদালতের গারদ থেকে পালাল ডাকাতি মামলার আসামি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

নরসিংদী জেলা আদালতের গারদ থেকে সাগর (৩২) নামের এক আসামি পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে পুলিশের হেফাজত থেকে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।

পলাতক সাগর নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। সোমবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। পরদিন দুপুরে আদালতে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর সময়ই ঘটে এ ঘটনা।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সাগর ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামি এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়, পরে খবর পাই সে গারদ থেকে পালিয়ে গেছে।”

এদিকে আদালত পরিদর্শক (ওসি) সাইরুল ইসলাম বলেন, “আমি বর্তমানে বাইরে আছি। আসামি পালিয়েছে কি না, বিষয়টি জেনে পরে জানাব।”

ঘটনা নিয়ে নরসিংদী জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জহিরুল ইসলাম জুয়েল প্রশ্ন তোলেন, “আসামি যখন পুলিশের হেফাজতে থাকে, তখন তার হাতে হাতকড়া বা কোমরে রশি থাকার কথা। তারপরও সে কীভাবে পালাল? এটি নিশ্চয়ই পুলিশের গাফিলতি বা উদাসীনতার ফল, বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
৫ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদী আদালতের গারদ থেকে পালাল ডাকাতি মামলার আসামি

আপডেট সময় ১১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নরসিংদী জেলা আদালতের গারদ থেকে সাগর (৩২) নামের এক আসামি পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে পুলিশের হেফাজত থেকে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।

পলাতক সাগর নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। সোমবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। পরদিন দুপুরে আদালতে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর সময়ই ঘটে এ ঘটনা।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সাগর ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামি এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়, পরে খবর পাই সে গারদ থেকে পালিয়ে গেছে।”

এদিকে আদালত পরিদর্শক (ওসি) সাইরুল ইসলাম বলেন, “আমি বর্তমানে বাইরে আছি। আসামি পালিয়েছে কি না, বিষয়টি জেনে পরে জানাব।”

ঘটনা নিয়ে নরসিংদী জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জহিরুল ইসলাম জুয়েল প্রশ্ন তোলেন, “আসামি যখন পুলিশের হেফাজতে থাকে, তখন তার হাতে হাতকড়া বা কোমরে রশি থাকার কথা। তারপরও সে কীভাবে পালাল? এটি নিশ্চয়ই পুলিশের গাফিলতি বা উদাসীনতার ফল, বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত।”