পূর্বাচলে শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে অনুসন্ধান শুরু
পূর্বাচলে শেখ হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে অনুসন্ধান শুরু।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬টি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
প্লট নেয়া ৬ জন হলেন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে আড়াই শতাধিক মামলা হয়েছে। অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এবার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করল দুদক।
ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন,
পূর্বাচলের প্লট অবৈধভাবে নিজেদের নামে করিয়ে নেয়ায় হাসিনা-রেহানাসহ শেখ পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
এদিকে ৬ হাজার কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারের চাকরির অপরাধে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেনের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দুদক জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকীর নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোড হতে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানেরও সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তারও আগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ওই দুটি অভিযোগই একই অনুসন্ধান টিম অনুসন্ধান করছে। তারা এরইমধ্যে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।