ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

বাংলাদেশে কী প্রভাব রাখতে পারেন ট্রাম্প?

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশে কী প্রভাব রাখতে পারেন ট্রাম্প?

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী প্রভাব রাখতে পারেন বাংলাদেশে? এ নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে কমে যাবে বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা।

সারা বিশ্বের মতো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দৃষ্টিও মার্কিন নির্বাচনের দিকে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং অভিবাসী নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

 

যদিও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদেরসহ সারা বিশ্বের টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী বলে রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট যেই আসুক না কেন, ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় ফেরার একটি চাপ থাকবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
 
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘ডেমোক্রেট হোক আর রিপাবলিক হোক- উভয়েই তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেবে।’
 
 
এদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়ায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহযোগিতার জায়গা কমে আসার আশঙ্কা দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। এছাড়াও বেআইনি অভিবাসীদের বের করে দেয়ার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী- সেটিও একটি আশঙ্কার বিষয়।
 
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন,  

অর্থনীতিতে চাপে থাকায় আমাদের সহযোগিতা দরকার। বাইডেন প্রশাসন এরমধ্যেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কমলা হ্যারিস থাকলে সেই ধারাবাহিকতাটা বজায় থাকতো। কিন্তু ট্রাম্পের নীতিগত অবস্থানটা ভিন্ন রকম। এছাড়া ইমিগ্রেশন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তার ব্যাপারে তিনি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সমস্যায় পড়তে পারি।

 

 
নির্বাচনের ফলাফলে ডেমোক্রেট কিংবা রিপাবলিকান যেই আসুক না কেন, ড. ইউনূসের সরকার নিজে কতটা উদ্যোগী হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
১৪৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে কী প্রভাব রাখতে পারেন ট্রাম্প?

আপডেট সময় ০৪:০৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে কী প্রভাব রাখতে পারেন ট্রাম্প?

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী প্রভাব রাখতে পারেন বাংলাদেশে? এ নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে কমে যাবে বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা।

সারা বিশ্বের মতো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দৃষ্টিও মার্কিন নির্বাচনের দিকে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং অভিবাসী নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

 

যদিও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদেরসহ সারা বিশ্বের টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী বলে রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট যেই আসুক না কেন, ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় ফেরার একটি চাপ থাকবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
 
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘ডেমোক্রেট হোক আর রিপাবলিক হোক- উভয়েই তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেবে।’
 
 
এদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়ায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহযোগিতার জায়গা কমে আসার আশঙ্কা দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। এছাড়াও বেআইনি অভিবাসীদের বের করে দেয়ার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী- সেটিও একটি আশঙ্কার বিষয়।
 
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন,  

অর্থনীতিতে চাপে থাকায় আমাদের সহযোগিতা দরকার। বাইডেন প্রশাসন এরমধ্যেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কমলা হ্যারিস থাকলে সেই ধারাবাহিকতাটা বজায় থাকতো। কিন্তু ট্রাম্পের নীতিগত অবস্থানটা ভিন্ন রকম। এছাড়া ইমিগ্রেশন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তার ব্যাপারে তিনি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সমস্যায় পড়তে পারি।

 

 
নির্বাচনের ফলাফলে ডেমোক্রেট কিংবা রিপাবলিকান যেই আসুক না কেন, ড. ইউনূসের সরকার নিজে কতটা উদ্যোগী হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।