ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে: শিক্ষা উপদেষ্টা Logo পর্যায়ক্রমে সব ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত Logo এক মাসের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর দাবি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের Logo খুলনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা Logo শোবিজ দুনিয়ার ‘স্পেশাল ডিনার’ ফাঁস করলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী Logo সাইফকাণ্ডে এবার এক নারী গ্রেফতার Logo আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার হলেন বুমরাহ Logo আল হিলালে খেলা প্রতি মিনিটে নেইমারের আয় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা Logo মুক্তিযুদ্ধ, শেখ মুজিব ও জুলাই আন্দোলন নিয়ে মাহফুজ আলমের নতুন বার্তা Logo ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

বিএনপিকে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান মুফতী ফয়জুলের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বিএনপিকে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান মুফতী ফয়জুলের।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টদের দোসর ছিল বলে বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছে সেটা ভুল তথ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র নায়েবে আমীর ও শায়েখে চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। অবিলম্বে বিএনপিকে তাদের এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা ও নগর সম্মেলনে মুফতি ফয়জুল করিম এই মন্তব্য করেন।


বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনও আওয়ামী লীগের অধীনে বিতর্কিত কোন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি এবং কখনোই ফ্যাসিস্টদের দোসর ছিল না’।


বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছে সেটা ভুল তথ্য দাবি করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘বিএনপি বর্তমানে যে বক্তব্য দিচ্ছে কেন দিচ্ছে তাদের কাছে প্রশ্ন। কেউ যদি মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টদের দোসর ছিল এটা তথ্যের ভুল। বক্তব্যটা দ্বিতীয়বার পর্যালোচনা করার দাবি রাখি’।

বিএনপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনের ভিত্তিতেই আজকে আপনারা মুক্তি পেয়েছেন, রাজনীতি করতে পারতেছেন, শহীদদের রক্তের দাগ এখনও শুকায় নাই। হাসপাতাল থেকে হাজারও রোগী এখনও বের হতে পারে নাই, এর মধ্যে সমস্ত অবদান ভুলে গেছেন? বাংলাদেশের জনগণ নিমক হারামদের পছন্দ করে না। করবে না, করতে পারে না। এজন্য সতর্ক হোন। যদি আপনি আপনার বক্তব্য সঠিক ভাবে প্রদান না করেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের কি হয় আমি জানি না। বাংলাদেশের মানুষ কোন জালেমকে ক্ষমা করে না এবং করবে না’।
 

এছাড়া চরমোনাইয়ের কাছে জামায়াতের আমিরের যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন নিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, ‘তিনি বরিশালে একটা প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। যেহেতু কাছে তাই তিনি গিয়েছিলেন। এটা তার অফিসিয়াল কোন প্রোগ্রাম ছিল না। সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চরমোনাইয়ের কাছে জামায়াতের আমিরের গিয়েছিলেন। আমরা যতোটুকু আতিথেয়তা করা প্রয়োজন ততোটুকু করেছি। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের সঙ্গে কোন আলোচনাও হয় নি’।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ফয়জুল করীম বলেন, ‘সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মানুষ যথাযথভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। আবারও দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে’।

পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোর প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম দেশ ও মানবতার জন্য সবার সঙ্গে ঐক্য করতে রাজি। ইসলামী সব দল মিলে একটা বাক্স দিতে পারলে দেশের ৯২ শতাংশ মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষের ভোট ইসলামী দলের পক্ষেই যাবে’।

ভ্যাট, ট্যাক্স না বাড়িয়ে তা কমানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘আপনারা ঘুষ, চুরি ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ করেন। তাহলে দ্রব্যমূল্য এমনিতেই কমে যাবে। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের উৎসাহ বাড়ান তাহলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে’।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

বিএনপিকে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান মুফতী ফয়জুলের

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপিকে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান মুফতী ফয়জুলের।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টদের দোসর ছিল বলে বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছে সেটা ভুল তথ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র নায়েবে আমীর ও শায়েখে চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। অবিলম্বে বিএনপিকে তাদের এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা ও নগর সম্মেলনে মুফতি ফয়জুল করিম এই মন্তব্য করেন।


বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনও আওয়ামী লীগের অধীনে বিতর্কিত কোন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি এবং কখনোই ফ্যাসিস্টদের দোসর ছিল না’।


বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছে সেটা ভুল তথ্য দাবি করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘বিএনপি বর্তমানে যে বক্তব্য দিচ্ছে কেন দিচ্ছে তাদের কাছে প্রশ্ন। কেউ যদি মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টদের দোসর ছিল এটা তথ্যের ভুল। বক্তব্যটা দ্বিতীয়বার পর্যালোচনা করার দাবি রাখি’।

বিএনপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনের ভিত্তিতেই আজকে আপনারা মুক্তি পেয়েছেন, রাজনীতি করতে পারতেছেন, শহীদদের রক্তের দাগ এখনও শুকায় নাই। হাসপাতাল থেকে হাজারও রোগী এখনও বের হতে পারে নাই, এর মধ্যে সমস্ত অবদান ভুলে গেছেন? বাংলাদেশের জনগণ নিমক হারামদের পছন্দ করে না। করবে না, করতে পারে না। এজন্য সতর্ক হোন। যদি আপনি আপনার বক্তব্য সঠিক ভাবে প্রদান না করেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের কি হয় আমি জানি না। বাংলাদেশের মানুষ কোন জালেমকে ক্ষমা করে না এবং করবে না’।
 

এছাড়া চরমোনাইয়ের কাছে জামায়াতের আমিরের যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন নিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, ‘তিনি বরিশালে একটা প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। যেহেতু কাছে তাই তিনি গিয়েছিলেন। এটা তার অফিসিয়াল কোন প্রোগ্রাম ছিল না। সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চরমোনাইয়ের কাছে জামায়াতের আমিরের গিয়েছিলেন। আমরা যতোটুকু আতিথেয়তা করা প্রয়োজন ততোটুকু করেছি। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের সঙ্গে কোন আলোচনাও হয় নি’।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ফয়জুল করীম বলেন, ‘সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মানুষ যথাযথভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। আবারও দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে’।

পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোর প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম দেশ ও মানবতার জন্য সবার সঙ্গে ঐক্য করতে রাজি। ইসলামী সব দল মিলে একটা বাক্স দিতে পারলে দেশের ৯২ শতাংশ মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষের ভোট ইসলামী দলের পক্ষেই যাবে’।

ভ্যাট, ট্যাক্স না বাড়িয়ে তা কমানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘আপনারা ঘুষ, চুরি ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ করেন। তাহলে দ্রব্যমূল্য এমনিতেই কমে যাবে। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের উৎসাহ বাড়ান তাহলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে’।