ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ, গেজেট প্রকাশ Logo ইরানে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে রেভল্যুশনারি গার্ডের ২ সদস্য নিহত Logo গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় শুরু হচ্ছে নতুন দফার আলোচনা Logo যশোরে বাসের ধাক্কায় পথচারী ও ভ্যানযাত্রীর মৃত্যু, চালক আটক Logo সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনে লং মার্চ হবে: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হুঁশিয়ারি নাহিদের Logo যুদ্ধে ৫টি সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য গোপন করেছিলো ইসরায়েল: টেলিগ্রাফ Logo নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক Logo আজ পবিত্র আশুরা Logo ইমন ও হৃদয়ের ফিফটির পর ২৪৮ রানে থেমে গেল বাংলাদেশ Logo দেশে করোনা ভাইরাসে আরও ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

বিগত শাসকদের ইতিহাস নতুন করে মনে করিয়ে দেবার কিছু নাই: রেজাউল করীম

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বিগত শাসকদের ইতিহাস নতুন করে মনে করিয়ে দেবার কিছু নাই: রেজাউল করীম।

এ দেশে বিগত শাসকদের ইতিহাস বাংলাদেশের জনগণকে নতুন করে মনে করিয়ে দেবার কিছু নাই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।


রেজাউল করীম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে গত শাসকদের আমলে বাংলাদেশ কেবল দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের পরিচালনায় হাজার হাজার মা সন্তান হারা হয়েছে। আমরা তাদের পরিচালনায় দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বেগম পাড়া তৈরি করতে দেখেছি। এর পরিবর্তন আমাদেরই করতে হবে।’


তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মনে নতুন করে আশা তৈরি হয়েছে। এবং তারা এটাও বুঝে গেছে বিগত দিনে যারা এ দেশ পরিচালনা করেছে তাদের কাছ থেকে নতুন করে কিছু আর পাওয়ার নেই।’

রেজাউল করীম বলেন, ‘আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, ইসলাম ও মানবিকতাকে ভালোবাসি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের মঙ্গল কামনা করলে আমাদেরকে পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।’

একই সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ৫ মাস পর যখন দিল্লির পররাষ্ট্র সচিব বললেন, নির্বাচিত সরকার এলে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবো। তার দুদিন পরেই দেখা গেল, একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা বলছেন, অতিদ্রুত নির্বাচন দেন। নির্বাচিত সরকারই এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘হঠাৎই তাদের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে নিরপেক্ষ সরকার মনে হচ্ছে না। তারা নিরপেক্ষ সরকার চায়, যে সরকার এক/একারোর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছিল। সেরকম একটি নিরপেক্ষ সরকার তারা চায়, যাতে তাদের ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দেয়া হয়।’
 

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সে কথার দুদিন পরে আমরা দেখছি, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ফেসবুকে লিখেছে, সেও একটি নিরপেক্ষ সরকার চায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার নিরপেক্ষ নয়। আপনাদের ভাষার সঙ্গে আওয়ামী লীগের ভাষা মিলে যাচ্ছে। আপনাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে দিল্লির দালালদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য মিলে যাচ্ছে।’

আন্দোলনের মাঠে সমন্বয়কদের অবদান তুলে ধরে হান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ, সব রাজনৈতিক দল নাহিদ ইসলামের নেতৃত্ব মেনে সেদিন মাঠে নেমেছিলেন। আপনাদের নেতৃত্ব যদি মানতো, তাহলে ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালাতো। আপনারা সেদিন পল্টনে টিয়ার গ্যাসের সামনে লাখ লাখ মানুষকে ফেলে মঞ্চ থেকে পালিয়েছিলেন, সেটা এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। কিন্তু আসিফ-নাহিদরা মানুষকে রাস্তায় রেখে পালায়নি। আজ তাদের চেয়ে বেশি দেশ প্রেমিক ভাবছেন নিজেদের।’
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:১৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৫৩ বার পড়া হয়েছে

বিগত শাসকদের ইতিহাস নতুন করে মনে করিয়ে দেবার কিছু নাই: রেজাউল করীম

আপডেট সময় ১০:১৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

বিগত শাসকদের ইতিহাস নতুন করে মনে করিয়ে দেবার কিছু নাই: রেজাউল করীম।

এ দেশে বিগত শাসকদের ইতিহাস বাংলাদেশের জনগণকে নতুন করে মনে করিয়ে দেবার কিছু নাই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।


রেজাউল করীম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে গত শাসকদের আমলে বাংলাদেশ কেবল দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের পরিচালনায় হাজার হাজার মা সন্তান হারা হয়েছে। আমরা তাদের পরিচালনায় দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বেগম পাড়া তৈরি করতে দেখেছি। এর পরিবর্তন আমাদেরই করতে হবে।’


তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মনে নতুন করে আশা তৈরি হয়েছে। এবং তারা এটাও বুঝে গেছে বিগত দিনে যারা এ দেশ পরিচালনা করেছে তাদের কাছ থেকে নতুন করে কিছু আর পাওয়ার নেই।’

রেজাউল করীম বলেন, ‘আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, ইসলাম ও মানবিকতাকে ভালোবাসি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের মঙ্গল কামনা করলে আমাদেরকে পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।’

একই সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ৫ মাস পর যখন দিল্লির পররাষ্ট্র সচিব বললেন, নির্বাচিত সরকার এলে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবো। তার দুদিন পরেই দেখা গেল, একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা বলছেন, অতিদ্রুত নির্বাচন দেন। নির্বাচিত সরকারই এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘হঠাৎই তাদের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে নিরপেক্ষ সরকার মনে হচ্ছে না। তারা নিরপেক্ষ সরকার চায়, যে সরকার এক/একারোর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছিল। সেরকম একটি নিরপেক্ষ সরকার তারা চায়, যাতে তাদের ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দেয়া হয়।’
 

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সে কথার দুদিন পরে আমরা দেখছি, মোহাম্মদ আলী আরাফাত ফেসবুকে লিখেছে, সেও একটি নিরপেক্ষ সরকার চায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার নিরপেক্ষ নয়। আপনাদের ভাষার সঙ্গে আওয়ামী লীগের ভাষা মিলে যাচ্ছে। আপনাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে দিল্লির দালালদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য মিলে যাচ্ছে।’

আন্দোলনের মাঠে সমন্বয়কদের অবদান তুলে ধরে হান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ, সব রাজনৈতিক দল নাহিদ ইসলামের নেতৃত্ব মেনে সেদিন মাঠে নেমেছিলেন। আপনাদের নেতৃত্ব যদি মানতো, তাহলে ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালাতো। আপনারা সেদিন পল্টনে টিয়ার গ্যাসের সামনে লাখ লাখ মানুষকে ফেলে মঞ্চ থেকে পালিয়েছিলেন, সেটা এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। কিন্তু আসিফ-নাহিদরা মানুষকে রাস্তায় রেখে পালায়নি। আজ তাদের চেয়ে বেশি দেশ প্রেমিক ভাবছেন নিজেদের।’