ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষধাজ্ঞা নেই, কোয়াবের দ্বারস্থ দুই ক্রিকেটার

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষধাজ্ঞা নেই, কোয়াবের দ্বারস্থ দুই ক্রিকেটার।

এবারের বিপিএল শুরুর পর থেকে সমালোচনা যেন থামছেই না। একের পর এক কর্মকাণ্ডে সমালোচিত হচ্ছে বিপিএল। এবার নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিক্সিং নিয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সব আলোচনাই চলছে স্পট ফিক্সিং এবং এর সঙ্গে কারা কারা সম্পৃক্ত আছে তা নিয়ে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে ফিক্সিংয়ে জড়িত ১০ জন ক্রিকেটারের নাম এসেছে। বলা হচ্ছে, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের সন্দেহভাজনদের তালিকায় আছেন এই ক্রিকেটাররা। তবে সূত্র বলছে, সংবাদমাধ্যমে যাদের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে অন্তত দুজন ক্রিকেটার এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন দাবি করে যোগাযোগ করেছেন কোয়াবের সঙ্গে। এছাড়া আইনি সহায়তা নেওয়ার চিন্তাভাবনাও নাকি করছেন বলে কোয়াবকে তারা জানিয়েছেন।

চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, এসবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এ রকম সংবাদে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে আসা নামের তালিকায় তার নামও আছে।

দেশের সনামধন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন যে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আমি মনে করি, যদি কোনও ক্রিকেটার সত্যিই এসবে জড়িত থাকেন, তাহলে বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্তে নিশ্চয়ই তা বের হয়ে আসবে। কিন্তু কেউ এসবে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও যদি তাদের নাম বাইরে আসে, তাহলে সেটি দুঃখজনক। এ ধরনের খবর ওই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার এবং মর্যাদার জন্যও ক্ষতিকর।’ 
 
এদিকে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে, দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নাকি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছুই জানে না বিসিবি। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ক্রিকেট বোর্ড।
 
 
ফিক্সিং ইস্যুতে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’
 
‘যদি তদন্তে কোনো কিছু (প্রমাণ) বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।’ 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষধাজ্ঞা নেই, কোয়াবের দ্বারস্থ দুই ক্রিকেটার

আপডেট সময় ০৯:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষধাজ্ঞা নেই, কোয়াবের দ্বারস্থ দুই ক্রিকেটার।

এবারের বিপিএল শুরুর পর থেকে সমালোচনা যেন থামছেই না। একের পর এক কর্মকাণ্ডে সমালোচিত হচ্ছে বিপিএল। এবার নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিক্সিং নিয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সব আলোচনাই চলছে স্পট ফিক্সিং এবং এর সঙ্গে কারা কারা সম্পৃক্ত আছে তা নিয়ে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে ফিক্সিংয়ে জড়িত ১০ জন ক্রিকেটারের নাম এসেছে। বলা হচ্ছে, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের সন্দেহভাজনদের তালিকায় আছেন এই ক্রিকেটাররা। তবে সূত্র বলছে, সংবাদমাধ্যমে যাদের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে অন্তত দুজন ক্রিকেটার এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন দাবি করে যোগাযোগ করেছেন কোয়াবের সঙ্গে। এছাড়া আইনি সহায়তা নেওয়ার চিন্তাভাবনাও নাকি করছেন বলে কোয়াবকে তারা জানিয়েছেন।

চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, এসবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এ রকম সংবাদে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে আসা নামের তালিকায় তার নামও আছে।

দেশের সনামধন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন যে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আমি মনে করি, যদি কোনও ক্রিকেটার সত্যিই এসবে জড়িত থাকেন, তাহলে বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্তে নিশ্চয়ই তা বের হয়ে আসবে। কিন্তু কেউ এসবে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও যদি তাদের নাম বাইরে আসে, তাহলে সেটি দুঃখজনক। এ ধরনের খবর ওই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার এবং মর্যাদার জন্যও ক্ষতিকর।’ 
 
এদিকে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে, দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নাকি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছুই জানে না বিসিবি। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ক্রিকেট বোর্ড।
 
 
ফিক্সিং ইস্যুতে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’
 
‘যদি তদন্তে কোনো কিছু (প্রমাণ) বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।’