মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের তাজপুর সীমান্ত এলাকার ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের প্রায় ২০০ গজের কাছ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের আলুক্ষেত থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শ্যাম চরণ পাহান উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের মৃত জিতু পাহানের ছেলে।
পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে সীমান্তবর্তী তাজপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক মাঠে কাজ করতে গিয়ে আলুক্ষেতে শ্যাম চরণের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তারা পুলিশে খবর দেন।
নিহত শ্যাম চরণ পাহানের ছেলে প্রণব পাহান বলেন, ‘আমার বাবা প্রায় দীর্ঘদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী, তিনি বাড়িতেই থাকেন। বাবা দিনের বেলায় বাহিরে যেন বের হয়ে না যান সেজন্য মাঝেমধ্যে তাকে পায়ে শিকল দিয়েও বেঁধে রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পায়ের শিকল খুলে দিয়ে বাবাকে ঘরে শুয়ে দিয়ে আমরাও সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে বাহিরে বের হয়ে দেখি বাবা আর ঘরে নেই। তখন পরিবারের সবাই রাতেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাইনি। তবে মঙ্গলবার সকালে লোকজনের মুখে জানতে পারি সীমন্তের পাশে একটি আলুক্ষেতে বাবার মরদেহ পাওয়া গেছে।’
কড়িয়া বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কোমান্ডার সুবেদার মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘ভারত সীমান্তের কাঁটাতার থেকে প্রায় ২০০ গজ আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আলুক্ষেতে একজনের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। স্থানীয় ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।’
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলী মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।