ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

মানবপাচারের ১৬ বছরের বন্দিদশা—অবশেষে উদ্ধার এক নারী

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের বাতু কেভস এলাকায় প্রায় ১৬ বছর ধরে শোষণ ও নিপীড়নের মধ্যে আটকা থাকা এক ইন্দোনেশীয় গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাড়িটি থেকে তাকে বের করে আনা হয়।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, অভিযান চলাকালে নারীটি নিয়োগকর্তার নির্দেশে একটি গাড়ির নিচে লুকিয়ে ছিলেন, যাতে কর্তৃপক্ষ তাকে খুঁজে না পায়। দীর্ঘদিনের ভয়, চাপ ও মানসিক আতঙ্কের কারণে তিনি এমনটা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর ধরে কোনো বৈধ নথিপত্র ছাড়াই তাকে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রতি মাসে ৬০০ রিঙ্গিত বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও গত দুই বছর তিনি কোনো রকম বেতন পাননি। নিয়মিত বকাঝকা, মানসিক নির্যাতন এবং শারীরিক অত্যাচারের মধ্যেই তার দিন কেটেছে।

তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পুরোপুরি সীমিত ছিল। পাসপোর্ট তার কাছ থেকে নিয়ে রাখা হয়েছিল, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। সুযোগ পেলেই তিনি বিশ্রামের সময় বের করতে পারতেন।

অভিযানের পর ৫১ বছর বয়সি এক স্থানীয় পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, পরিচিত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ওই নারী তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

ঘটনাটি বর্তমানে ATIPSOM Act 670 (অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং ইন পারসন্স অ্যান্ড অ্যান্টি-স্মাগলিং অব মাইগ্র্যান্টস অ্যাক্ট ২০০৭)–এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযানে ইমিগ্রেশনের ATIPSOM প্রতিরোধ ইউনিট এবং মানি লন্ডারিং তদন্ত টিম অংশ নেয়। মানবপাচারের শিকার চিহ্নিত করতে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন অন হিউম্যান ট্রাফিকিং ইনডিকেটরস ২.০’ ব্যবহার করা হয়।

জাকারিয়া জানান, মানবপাচার সংক্রান্ত সকল তথ্যকে তারা অগ্রাধিকার দেয় এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি তিনি জনগণকে বিদেশি শ্রমিক বা গৃহকর্মীদের ওপর শোষণের তথ্য ০৩-৮৮৮০১৪৭১ নম্বরে অথবা urusetia_p@imi.gov.my ইমেইলে জানানোর আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
২৯ বার পড়া হয়েছে

মানবপাচারের ১৬ বছরের বন্দিদশা—অবশেষে উদ্ধার এক নারী

আপডেট সময় ০৯:০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের বাতু কেভস এলাকায় প্রায় ১৬ বছর ধরে শোষণ ও নিপীড়নের মধ্যে আটকা থাকা এক ইন্দোনেশীয় গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাড়িটি থেকে তাকে বের করে আনা হয়।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, অভিযান চলাকালে নারীটি নিয়োগকর্তার নির্দেশে একটি গাড়ির নিচে লুকিয়ে ছিলেন, যাতে কর্তৃপক্ষ তাকে খুঁজে না পায়। দীর্ঘদিনের ভয়, চাপ ও মানসিক আতঙ্কের কারণে তিনি এমনটা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর ধরে কোনো বৈধ নথিপত্র ছাড়াই তাকে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রতি মাসে ৬০০ রিঙ্গিত বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও গত দুই বছর তিনি কোনো রকম বেতন পাননি। নিয়মিত বকাঝকা, মানসিক নির্যাতন এবং শারীরিক অত্যাচারের মধ্যেই তার দিন কেটেছে।

তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পুরোপুরি সীমিত ছিল। পাসপোর্ট তার কাছ থেকে নিয়ে রাখা হয়েছিল, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। সুযোগ পেলেই তিনি বিশ্রামের সময় বের করতে পারতেন।

অভিযানের পর ৫১ বছর বয়সি এক স্থানীয় পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, পরিচিত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ওই নারী তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

ঘটনাটি বর্তমানে ATIPSOM Act 670 (অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং ইন পারসন্স অ্যান্ড অ্যান্টি-স্মাগলিং অব মাইগ্র্যান্টস অ্যাক্ট ২০০৭)–এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযানে ইমিগ্রেশনের ATIPSOM প্রতিরোধ ইউনিট এবং মানি লন্ডারিং তদন্ত টিম অংশ নেয়। মানবপাচারের শিকার চিহ্নিত করতে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন অন হিউম্যান ট্রাফিকিং ইনডিকেটরস ২.০’ ব্যবহার করা হয়।

জাকারিয়া জানান, মানবপাচার সংক্রান্ত সকল তথ্যকে তারা অগ্রাধিকার দেয় এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি তিনি জনগণকে বিদেশি শ্রমিক বা গৃহকর্মীদের ওপর শোষণের তথ্য ০৩-৮৮৮০১৪৭১ নম্বরে অথবা urusetia_p@imi.gov.my ইমেইলে জানানোর আহ্বান জানান।