ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইফের ওপর হামলা: ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে চমকপ্রদ তথ্য, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সাইফের ওপর হামলা: ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে চমকপ্রদ তথ্য, প্রশ্নের মুখে পুলিশ।

 

মহারাষ্ট্র সিআইডির ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুরের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে; পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলোর সঙ্গে আটক শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনো মিল নেই।

আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম মিড ডে, সংবাদ প্রতিদিন।

জানা গেছে, আটক শরিফুল ইসলামের ১০টি আঙুলের ছাপও পাঠানো হয়েছিল। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন, তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, সাইফ আলি খানের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটিও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে।

তাহলে সেগুলো কার– এ নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, আটক শরিফুল কি আদৌ সাইফ-কারিনার বাসায় গিয়েছিলেন? তিনিই কি সাইফের ওপর হামলা করেছেন?

এদিকে, ছুরিকাঘাতের পর প্রথমবারের মতো কড়া নিরাপত্তায় বাইরে বের হতে দেখা গেছে বলিউড তারকা সাইফ আলি খান। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর।

মিড ডে জানায়, পতৌদির নবাবের পরনে ছিল নীল টিশার্ট ও ডেনিম প্যান্ট। অন্যদিকে, কাপুর পরিবারের মেয়ের পরনে ছিল ধূসর সোয়েটশার্ট ও কালো ব্যাগি ট্রাউজার্স। মাথায় পরেছিলেন স্পোর্টস ক্যাপ।

দুজনকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। দেশটির গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর এই দম্পতিকে অস্থায়ী পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে।

এর আগে, চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে সাইফ আলি খানের রক্তের নমুনা ও কাপড় সংগ্রহ করেছে মুম্বাই পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সাইফ আলি খানের বাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্ত। এতে গুরুতর আহত হন বলিউডের ‘নবাব’। ভোররাতে তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

এরপর প্রাথমিকভাবে চারজনকে আটক করেছিল মুম্বাই পুলিশ। একেবারে প্রথমে যাকে আটক করা হয়, তখনই ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। এছাড়া, মধ্যপ্রদেশ থেকে দুজনকে আটক করা হয়। সবশেষ শরিফুল ইসলাম নামে বাংলাদেশি এক তরুণকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর শরিফুলের বাবা বারবার বলে আসছিলেন, সাইফের বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া হামলাকারীর সঙ্গে শরিফুলের চেহারার মিল নেই। ছবির ওই ব্যক্তি তার সন্তান নন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

সাইফের ওপর হামলা: ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে চমকপ্রদ তথ্য, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

আপডেট সময় ১১:২৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

সাইফের ওপর হামলা: ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে চমকপ্রদ তথ্য, প্রশ্নের মুখে পুলিশ।

 

মহারাষ্ট্র সিআইডির ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুরের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে; পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলোর সঙ্গে আটক শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনো মিল নেই।

আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম মিড ডে, সংবাদ প্রতিদিন।

জানা গেছে, আটক শরিফুল ইসলামের ১০টি আঙুলের ছাপও পাঠানো হয়েছিল। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন, তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, সাইফ আলি খানের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটিও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে।

তাহলে সেগুলো কার– এ নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, আটক শরিফুল কি আদৌ সাইফ-কারিনার বাসায় গিয়েছিলেন? তিনিই কি সাইফের ওপর হামলা করেছেন?

এদিকে, ছুরিকাঘাতের পর প্রথমবারের মতো কড়া নিরাপত্তায় বাইরে বের হতে দেখা গেছে বলিউড তারকা সাইফ আলি খান। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর।

মিড ডে জানায়, পতৌদির নবাবের পরনে ছিল নীল টিশার্ট ও ডেনিম প্যান্ট। অন্যদিকে, কাপুর পরিবারের মেয়ের পরনে ছিল ধূসর সোয়েটশার্ট ও কালো ব্যাগি ট্রাউজার্স। মাথায় পরেছিলেন স্পোর্টস ক্যাপ।

দুজনকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। দেশটির গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর এই দম্পতিকে অস্থায়ী পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে।

এর আগে, চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে সাইফ আলি খানের রক্তের নমুনা ও কাপড় সংগ্রহ করেছে মুম্বাই পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সাইফ আলি খানের বাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্ত। এতে গুরুতর আহত হন বলিউডের ‘নবাব’। ভোররাতে তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

এরপর প্রাথমিকভাবে চারজনকে আটক করেছিল মুম্বাই পুলিশ। একেবারে প্রথমে যাকে আটক করা হয়, তখনই ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। এছাড়া, মধ্যপ্রদেশ থেকে দুজনকে আটক করা হয়। সবশেষ শরিফুল ইসলাম নামে বাংলাদেশি এক তরুণকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর শরিফুলের বাবা বারবার বলে আসছিলেন, সাইফের বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া হামলাকারীর সঙ্গে শরিফুলের চেহারার মিল নেই। ছবির ওই ব্যক্তি তার সন্তান নন।