সালমান শাহর মৃত্যু: মামার উত্থাপিত ১০ প্রশ্ন
নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে আবারও আলোচনায় এলেন তাঁর মামা আলমগীর কুমকুম। সময়ের গল্পের সঙ্গে এক বিশেষ আলাপে তিনি দাবি করেন, এটি আত্মহত্যা নয়—পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আলমগীর কুমকুমের মতে, সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হককে ঘিরে কিছু রহস্যজনক ঘটনা এখনও স্পষ্ট হয়নি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সালমানের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিরা শাস্তি এড়িয়ে গেছেন, রাজনৈতিক কারণে বিষয়টি আড়াল হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাথরুম থেকে সালমান তাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তিনি ডিভোর্স পেপারে সই করেছেন এবং সকালে বেরিয়ে আসবেন। কথোপকথনটি সামিরার কানে পৌঁছালে ঝগড়ার সূত্রপাত হয়। পরে সালমানের ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনি দেখেন, টেবিলে রাতের খাবার পড়ে আছে, যা নষ্ট হয়ে গেছে—মনে হচ্ছিল তিনি রাতের খাবার খাননি।
মামার বক্তব্যে সালমান শাহর মৃত্যুকে ঘিরে বেশ কিছু অনুত্তরিত প্রশ্ন উঠে আসে। তিনি এসব রহস্যের ব্যাখ্যা ও তদন্ত দাবি করেন। তাঁর উল্লেখ করা ১০টি বিষয় হলো—
1. মৃত্যুর আগে ব্যবহৃত সালমান শাহর মোবাইল ফোনের কোনো খোঁজ নেই।
2. শেষ কয়েক দিনের কল রেকর্ডও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
3. ফাঁসির দড়ির উচ্চতা মেপে দেখা গেছে, সালমানের পা মাটিতে লাগছিল—তাহলে কীভাবে তিনি ঝুললেন?
4. জানালার পর্দা ছেঁড়া এবং কাচে অসংখ্য আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়।
5. বাথরুমে লক করা স্যুটকেসের ভেতরে ছিল ভেজা কাপড়।
6. ফ্লোরে ডানহিল ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়, যা সালমানের অভ্যাসে ছিল না।
7. প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সেদিন রাতের বেলা ড্রেসিং রুমে হাতাহাতি চলতে দেখেছেন।
8. ঝুলন্ত অবস্থায় সালমানকে নামানোর পর সামিরা তাকে গোসল করায় এবং নতুন হাফপ্যান্ট পরায়—হাসপাতালে না নেওয়ার কারণ অজানা।
9. নতুন পোশাকের স্টিকারও তখনো খোলা হয়নি, শরীরে তেল মালিশ করা হয়েছিল—এর যৌক্তিকতা নেই।
10. মৃত্যুর পর গৃহকর্মী ডলি ও মনোয়ারা, আবুল এবং স্ত্রী সামিরাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের একটি ফ্ল্যাটে সালমান শাহর মৃত্যু ঘটে। সে সময় স্ত্রী সামিরা এটিকে আত্মহত্যা বললেও পরিবার শুরু থেকেই এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে।