যুদ্ধ পর্যবেক্ষককারী একটি সংস্থার বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) মতে, বিদ্রোহী যোদ্ধাদের এগিয়ে আসার খবরে সিরিয়ার হোমস শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে দ্রুতগতিতে সামরিক অভিযান চালিয়ে আলেপ্পো দখল করে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) ও তার মিত্ররা। লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। হিজবুল্লাহ আসাদের মিত্র হিসেবে পরিচিত।
উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো দখলের পর বিদ্রোহীরা মধ্যাঞ্চলের হামা শহরের দিকে যাত্রা শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তারা হামা দখলে নেয়। যেখানে দশ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। প্রেসিডেন্ট আসাদের সিরিয়ান আরব আর্মি (এসএএ) কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে হামা শহরে আসার পথে আসাদ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের বিভিন্ন সড়কে যুদ্ধ হয়। বিদ্রোহীরা ‘কয়েক দিক থেকে’ হামা শহরে হামলা চালায়। তবে এই দুইটি শহর দখল করেই থেমে নেই বিদ্রোহীরা।
এইচটিএস যোদ্ধারা এখন হোমস শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই শহর এখনও প্রেসিডেন্ট আসাদ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা আশ্চর্যজনকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু এলাকায় তারা বাসার আল আসাদ বাহিনীর কোনো বাধার মুখেই পড়ছে না। এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হোমস শহর দখল। কারণ এটি দেশটির রাজধানী দামেস্ককে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) যোদ্ধারা রাস্তান এবং তালবিসেহ দুটি শহর দখল করার পর এখন হোমস শহরের উপকণ্ঠ থেকে ৫ কিমি (৩ মাইল) দূরে রয়েছে।