হাদির ওপর হামলা মানেই গণতন্ত্র ও দেশের ওপর আঘাত: মির্জা আব্বাস
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, এই হামলা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর নয়; এটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের অপশক্তিকে প্রতিহত করতেই হবে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, গুলিবর্ষণের ঘটনার পরপরই একটি গোষ্ঠী বাড়িঘর ভাঙচুরের উসকানি দেয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। সুযোগ নিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক বেয়াদবি করে, যারা হাদির সমর্থক নয় বরং একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক।
তিনি বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে আমরা কখনও কারও মৃত্যু কামনা করতে পারি না। কিন্তু মুসলমানের পরিচয় ব্যবহার করে কিছু লোক এই ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এমনকি তারা হাসপাতালে ঢুকে মব তৈরির চেষ্টাও করেছে। তারা ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে আমাদের পিছু হটানো যাবে, কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে।
নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীবনে অনেক নির্বাচন দেখেছি ও করেছি। হাদি চাইলে তাকে সহযোগিতা করতেও আমি প্রস্তুত ছিলাম। বিএনপির প্রার্থীদের সহিংসতার কোনো ইতিহাস নেই। এই ধরনের রেকর্ড রয়েছে আওয়ামী লীগ এবং সুযোগসন্ধানী কিছু দলের।
হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়লেই একটি দলের আসল চেহারা জনসমক্ষে উন্মোচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, হাদি আমার শত্রু নয়, সে আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। রাজপথে সে একজন সংগ্রামী সৈনিক। তার বয়সে আমরাও আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম।
সবশেষে তিনি সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বলেন, আগে আমাদের শত্রু ছিল একমুখী, এখন তা বহুমুখী। এসব শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।




















