ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

১ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপকে ঘিরে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জন অভিযুক্ত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ করে যে, শেখ রেহানা অবৈধভাবে ১০ কাঠা জমি পেয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন জানান, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করে এদিন রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।

দুদকের আইনজীবীদের দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা সরকারি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম করেছেন এবং জাল নথির মাধ্যমে এ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছিল। তাদের মতে, মামলার প্রধান আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা—যাবজ্জীবন কারাদণ্ড—হতে পারে।

মামলার নথিতে উল্লেখ আছে, পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের সময় শেখ রেহানা তার পরিবারের জন্য জমি চেয়ে আবেদন করেন এবং পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজউককে বরাদ্দ অনুমোদনের নির্দেশ দেন। অভিযোগ অনুযায়ী, রেহানা একটি মিথ্যা হলফনামা জমা দিয়ে জমির মালিকানা নেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

৩২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, কাগজপত্র, সরকারি নির্দেশনা ও বিভিন্ন নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক আগামী ১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

সাক্ষীদের বক্তব্যে আরও দাবি করা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক তার মায়ের জন্য প্লট বরাদ্দের বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। যদিও তিনি নিজে কোনো জমি নেননি, তবুও এই অভিযোগের কারণে তিনি মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। দুদকের পক্ষের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধেও কঠোর সাজা হতে পারে।

এ মামলায় গ্রেপ্তার থাকা একমাত্র আসামি—রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের আইনজীবী জানান, তিনি কেবল ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ অনুসরণ করেছিলেন এবং এজন্য তাকে দায়ী করা উচিত নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
২২ বার পড়া হয়েছে

১ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপকে ঘিরে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা

আপডেট সময় ০৩:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জন অভিযুক্ত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ করে যে, শেখ রেহানা অবৈধভাবে ১০ কাঠা জমি পেয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন জানান, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করে এদিন রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।

দুদকের আইনজীবীদের দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা সরকারি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম করেছেন এবং জাল নথির মাধ্যমে এ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছিল। তাদের মতে, মামলার প্রধান আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা—যাবজ্জীবন কারাদণ্ড—হতে পারে।

মামলার নথিতে উল্লেখ আছে, পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের সময় শেখ রেহানা তার পরিবারের জন্য জমি চেয়ে আবেদন করেন এবং পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজউককে বরাদ্দ অনুমোদনের নির্দেশ দেন। অভিযোগ অনুযায়ী, রেহানা একটি মিথ্যা হলফনামা জমা দিয়ে জমির মালিকানা নেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

৩২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, কাগজপত্র, সরকারি নির্দেশনা ও বিভিন্ন নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক আগামী ১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

সাক্ষীদের বক্তব্যে আরও দাবি করা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক তার মায়ের জন্য প্লট বরাদ্দের বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। যদিও তিনি নিজে কোনো জমি নেননি, তবুও এই অভিযোগের কারণে তিনি মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। দুদকের পক্ষের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধেও কঠোর সাজা হতে পারে।

এ মামলায় গ্রেপ্তার থাকা একমাত্র আসামি—রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের আইনজীবী জানান, তিনি কেবল ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ অনুসরণ করেছিলেন এবং এজন্য তাকে দায়ী করা উচিত নয়।