যেসব কর্মী অফিসে ফিরতে চান না, তাদের জন্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সরকারের আকার ছোট করা ও ব্যয় কমানোই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে প্রচারণায় সরকারের আকার ছোট করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ২০ লাখ সরকারী কর্মীকে ইমেইল পাঠিয়ে তাদের জানিয়েছে যে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা এই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ প্রোগ্রামে অংশ নিতে চায় কি না। যারা এই প্রোগ্রামে অংশ নেবে, তাদের প্রায় ৮ মাসের বেতন এককালীন প্রণোদনা দেয়া হবে।
যেসব কর্মী এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে চান, তাদের ইমেইলের সাবজেক্ট লাইনে ‘রিজাইন’ লিখে রিপ্লাই করতে বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এটা মূলত ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ, যেখানে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারের ব্যয় ও আকার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী পদত্যাগ করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা প্রায় ২ লাখ কর্মীর সমান।
এই পদক্ষেপে সরকারের প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে, এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে পোস্টাল কর্মী, সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন অফিসার এবং কিছু জাতীয় নিরাপত্তাকর্মী এই প্রস্তাবের আওতায় নেই।
এই পদক্ষেপের সাথে যুক্ত রয়েছে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা, যেখানে তিনি ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে একটি উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম-কানুন এবং ব্যয় ও কর্মী সংখ্যা কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকারের কর্মসংস্কৃতি ও দক্ষতা বাড়বে বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বিরোধী ডেমোক্র্যাট নেতারা এই পরিকল্পনাকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।