বিএনপির পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে, আওয়ামী লীগের মতো পরিণতি অপেক্ষায়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে কাঠামোগত পরিবর্তন না আনতে পারলে উপদেষ্টা পরিষদের সবাই ইতিহাসের বিচারের মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
রোববার (৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: পথরেখা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এনসিপি–সমর্থিত ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স অ্যালায়েন্স এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পাটওয়ারী বলেন, “সংস্কারের পথে বাধা দিচ্ছে বিএনপি। তাদের মৃত্যুঘণ্টা ইতোমধ্যেই বেজে গেছে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মতোই পরিণতি হবে তাদের।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রের টাকা ব্যাংক ও শেয়ারবাজার থেকে লুট করে নেওয়া হয়েছে। এসব অর্থ এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় গোপনে রাখা হয়েছে, আর সেই সম্পদের পাহারাদার হিসেবে বিএনপি কাজ করছে।”
অর্থনৈতিক দুর্নীতি মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে পাটওয়ারী বলেন, “শেয়ারবাজার থেকে চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা যারা এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছি, উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি আস্থা রেখেছি— তারা আজ আমাদের হাতে লাড্ডু ধরিয়ে দিয়েছেন। আমরা কি এ আস্থার জন্যই আপনাদের পাশে ছিলাম?”
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের ঘিলু পরিষ্কার করতে হবে। এত পড়াশোনা করেও দেশের বিপক্ষে কেন কাজ করছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক।”
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও যোগ করেন, “দুইটা আসন দিয়ে এনসিপিকে কেনার চিন্তা বাদ দিন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দুর্নীতির এমন কোনো ক্ষেত্র ছিল না যেখানে বিএনপি হাত দেয়নি। হাওয়া ভবন বানিয়ে টাকার বান্ডিল সামলানোর লোকেরা আজ বলে, জুলাই সনদ বা নতুন বাংলাদেশ বলে কিছু বুঝি না।”
একই সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো প্রক্রিয়া গ্রহণ করলে নির্বাচনের সময়সূচি বিলম্বিত হতে পারে।
তিনি বলেন, “গণভোট বা পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) যাই করা হোক না কেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে তা করা যাবে না। সংবিধানে গণভোটের কোনো ধারা নেই। কেবলমাত্র জনগণের নির্বাচিত সরকার সংবিধান সংশোধন করতে পারে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যদি সংসদ না থাকে, নির্বাচনই না হয়—তাহলে সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা কে পাবে? জনগণ কাউকেই সে ক্ষমতা দেয়নি।”



















