ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শিরোপা জিতে রাজসিক সংবর্ধনায় সিক্ত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে নিজেদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। অনুরোধ করেছেন বার্সেলোনার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের।

গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) নেপালের দশরথ রঙ্গশালায় স্বাগতিক সমর্থকদের চুপ করিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো সাফের শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশের মেয়েরা। তারপর দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান নারী ফুটবলাররা। আর শনিবার সকালে ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন সাফজয়ীরা। সেখানে তারা নিজেদের নানা সংগ্রাম ও আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

 

এ সময় এশিয়ার বাইরের দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলার আগ্রহের কথা জানান ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। তিনি অনুরোধ করেন মেয়েদের সর্বশেষ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের।
 
 
বার্সেলোনার সঙ্গে ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করার পেছনে কারণও আছে।  সামাজিক ব্যবসার ধারণা দিতে আমন্ত্রণ পেয়ে ২০১৬ সালে বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে তার নাম লেখা একটি বিশেষ জার্সিও পরেছিলেন। বার্সেলোনার সঙ্গে ড. ইউনুসের সু সম্পর্কের কথা জানেন বলেই এমন অনুরোধ করেছেন কৃষ্ণা রানী।
 
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম, স্বপ্ন ও তাদের দাবিদাওয়া লিখে তার দফতরে জমা দিতে বলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, তাদের চাহিদা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।
 
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যা কিছু চাওয়া আছে, তা বিনা দ্বিধায় লিখে পাঠাও। আমরা তোমাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো এবং যা সম্ভব তা সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করবো।’
 
 
পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পৌঁছান নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সামনে ট্রফি উপস্থাপন করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার নাম সংবলিত একটি স্মারক জার্সি তুলে দেয়া হয় ড. ইউনূসের হাতে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
৫ বার পড়া হয়েছে

বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা

আপডেট সময় ০৫:০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

বার্সেলোনার সঙ্গে খেলতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শিরোপা জিতে রাজসিক সংবর্ধনায় সিক্ত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে নিজেদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। অনুরোধ করেছেন বার্সেলোনার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের।

গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) নেপালের দশরথ রঙ্গশালায় স্বাগতিক সমর্থকদের চুপ করিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো সাফের শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশের মেয়েরা। তারপর দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান নারী ফুটবলাররা। আর শনিবার সকালে ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন সাফজয়ীরা। সেখানে তারা নিজেদের নানা সংগ্রাম ও আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

 

এ সময় এশিয়ার বাইরের দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলার আগ্রহের কথা জানান ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। তিনি অনুরোধ করেন মেয়েদের সর্বশেষ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের।
 
 
বার্সেলোনার সঙ্গে ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করার পেছনে কারণও আছে।  সামাজিক ব্যবসার ধারণা দিতে আমন্ত্রণ পেয়ে ২০১৬ সালে বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে তার নাম লেখা একটি বিশেষ জার্সিও পরেছিলেন। বার্সেলোনার সঙ্গে ড. ইউনুসের সু সম্পর্কের কথা জানেন বলেই এমন অনুরোধ করেছেন কৃষ্ণা রানী।
 
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম, স্বপ্ন ও তাদের দাবিদাওয়া লিখে তার দফতরে জমা দিতে বলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, তাদের চাহিদা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।
 
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যা কিছু চাওয়া আছে, তা বিনা দ্বিধায় লিখে পাঠাও। আমরা তোমাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো এবং যা সম্ভব তা সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করবো।’
 
 
পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পৌঁছান নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সামনে ট্রফি উপস্থাপন করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার নাম সংবলিত একটি স্মারক জার্সি তুলে দেয়া হয় ড. ইউনূসের হাতে।