ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo বাগেরহাটে টেলিস্কোপে চাঁদ-তারা দেখে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস Logo ওমরজাইয়ের দাপটেই আফগানিস্তানের জয়, বাংলাদেশ হোঁচট খেল প্রথম ওয়ানডেতে Logo শুধু হামজা নয়, বাংলাদেশের পুরো দলকেই নজরে রাখছেন হংকং কোচ Logo রাতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Logo এক লাফে ৬,৯০৬ টাকা বৃদ্ধি, ভরিতে স্বর্ণের নতুন রেকর্ড দাম Logo পাকিস্তানি অভিযানে ১৯ ভারতীয় প্রক্সি সন্ত্রাসী নিধন Logo রাশিয়ার হাতে যুদ্ধের লাগাম, ইউক্রেনের পাল্টা দাবি Logo এ বছরের রসায়ন নোবেল: তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo শেখ হাসিনার মামলায় নতুন অধ্যায়: রোববার থেকে যুক্তিতর্ক

সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিল সরকার

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিল সরকার।

ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার নিট ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে বিক্রির তুলনায় ভাঙানো বেশি ছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছর সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা কমেছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিচালন ব্যয় অনেক কমেছে। এর অন্যতম কারণ মন্ত্রী, এমপিসহ অনেকের পেছনে আগের মতো আর নিয়মিত ব্যয় হচ্ছে না। আবার এখন যে কোনো খরচ করার ক্ষেত্রে জবাবদিহি বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে আগের সরকারের যে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা কমছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আর ১ টাকাও নিচ্ছে না সরকার। উল্টো গত আগস্ট পর্যন্ত দুই মাসে আগের ঋণের ১৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়েছে ২৮ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। যে কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে গত সেপ্টেম্বর শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। গত জুন শেষে যা ৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকায় নেমেছিল। এর মধ্যে জুলাইতে ২ হাজার ১৮৮ কোটি, আগস্টে ২ হাজার ৩৬ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়ে রেপো রেট করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এখন আর নতুন করে টাকা ছাপানো হচ্ছে না। আগের সরকার একই রকম ঘোষণা দিলেও তথ্য গোপন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শেষ তিন মাসে অতিরিক্ত প্রায় ৪১ হাজার কােটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এক ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ‘ওভারড্রাফট’ খাতের নামে এ অর্থ দেওয়া হয়। ওডি হিসেবে সরকার যেখানে সর্বোচ্চ ৮ হাজার কোটি টাকা নিতে পারত, সেখানে এই খাতের নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেওয়া হয় ৪৮ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এই উপায়ে দেওয়া টাকা সরকারি ঋণের মূল প্রতিবেদনে দেখানো হয়নি। যে কারণে গত অর্থবছর আসলে ঋণ বাড়লেও প্রতিবেদনে দেখানো হয় ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা কমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
১১৯ বার পড়া হয়েছে

সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিল সরকার

আপডেট সময় ০৮:১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিল সরকার।

ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার নিট ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে বিক্রির তুলনায় ভাঙানো বেশি ছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছর সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা কমেছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিচালন ব্যয় অনেক কমেছে। এর অন্যতম কারণ মন্ত্রী, এমপিসহ অনেকের পেছনে আগের মতো আর নিয়মিত ব্যয় হচ্ছে না। আবার এখন যে কোনো খরচ করার ক্ষেত্রে জবাবদিহি বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে আগের সরকারের যে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা কমছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আর ১ টাকাও নিচ্ছে না সরকার। উল্টো গত আগস্ট পর্যন্ত দুই মাসে আগের ঋণের ১৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়েছে ২৮ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। যে কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে গত সেপ্টেম্বর শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। গত জুন শেষে যা ৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকায় নেমেছিল। এর মধ্যে জুলাইতে ২ হাজার ১৮৮ কোটি, আগস্টে ২ হাজার ৩৬ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়িয়ে রেপো রেট করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এখন আর নতুন করে টাকা ছাপানো হচ্ছে না। আগের সরকার একই রকম ঘোষণা দিলেও তথ্য গোপন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শেষ তিন মাসে অতিরিক্ত প্রায় ৪১ হাজার কােটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এক ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ‘ওভারড্রাফট’ খাতের নামে এ অর্থ দেওয়া হয়। ওডি হিসেবে সরকার যেখানে সর্বোচ্চ ৮ হাজার কোটি টাকা নিতে পারত, সেখানে এই খাতের নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেওয়া হয় ৪৮ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এই উপায়ে দেওয়া টাকা সরকারি ঋণের মূল প্রতিবেদনে দেখানো হয়নি। যে কারণে গত অর্থবছর আসলে ঋণ বাড়লেও প্রতিবেদনে দেখানো হয় ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা কমেছে।