ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টানা তিন শতকে টি-টোয়েন্টিতে তিলকের বিশ্বরেকর্ড Logo বর্তমান সংবিধান ফ্যাসিস্ট বানানোর কারখানায় পরিণত হয়েছে: পার্থ Logo ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন: দুদিনে ডিএমপির ২২০০ মামলা Logo কৃষ ফোর-ই হবে শেষ সিনেমা! Logo ছাত্র আন্দোলনে ‘পাকিস্তানি শুটারগান দিয়ে ২৮ রাউন্ড গুলি করা’ তৌহিদ গ্রেফতার Logo ছাত্রদল নেতা মোঃ মাহমুদুল আলম ফাবিরের বাসায় হামলা চালায় ফ্যাসিস্ট আখ্যা পাওয়া ছাত্রলীগের কর্মীরা। Logo ব্যারিস্টার সুমনকে চুনারুঘাট থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে Logo শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উস্কানি দিচ্ছে: রিজভী Logo ৫ দেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা Logo ৮ দফা দাবি নিয়ে রংপুরে সনাতনীদের বিভাগীয় সমাবেশ

বাইডেন সরকারের অভিবাসন কর্মসূচিকে অবৈধ ঘোষণা আদালতের

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

বাইডেন সরকারের অভিবাসন কর্মসূচিকে অবৈধ ঘোষণা আদালতের।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের অভিবাসন বিষয়ক একটি কর্মসূচি অবৈধ ঘোষণা করেছেন দেশটির একটি আদালত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) আদালত এ রায় দিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের জুন মাসে ‘কিপিং ফ্যামিলিজ টুগেদার’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাইডেন। ওই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল মার্কিন নাগরিকদের সাথে বিবাহিত কিছু অনথিভুক্ত অভিবাসীর জন্য নাগরিকত্ব ও গ্রিনকার্ড পাওয়ার পথ সহজ করা।

 

এ কর্মসূচির শর্ত ছিল, কোনো বৈধ নথিবিহীন অভিবাসী যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে বিয়ে করেন এবং ১০ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন, তাহলে তিনি নাগরিকত্ব ও গ্রিনকার্ডের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে এই দশ বছর কোনো গুরুতর অপরাধ তিনি করতে পারবেন না। যদি এই শর্ত তিনি ভঙ্গ করেন, তাহলে তাকে তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
 
শর্তে আরও বলা হয়, বৈধ নথিবিহীন কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী যদি মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রের আসেন এবং আসার পর বড় ধরনের কোনো অপরাধ না করেন, তাহলে পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবেন এবং এই সময়সীমার মধ্যে তাকে ফেরত পাঠাবে না মার্কিন প্রশাসন।
 
এছাড়া তিন বছর পর এ ধরনের অভিবাসীরা গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলেও উল্লেখ করা হয় কর্মসূচিতে। ২০২৪ সালের ১৭ জুনের আগ পর্যন্ত যেসব অভিবাসী মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, তারা পরিকল্পনা বা কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবেন বলে জানায় বাইডেন প্রশাসন।
 
এই কর্মসূচি ঘোষণা করার প্রায় ২ মাস পর আগস্টে টেক্সাস রাজ্যে এর প্রয়োগে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন বিচারক জে. ক্যাম্পবেল বার্কার। এই বিচারক সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। আর ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনদিন পরই এই কর্মসূচিকে অবৈধ ঘোষণা করলেন তিনি।
 
বিচারক জে. ক্যাম্পবেল বার্কার রায়ে বলেন, ‘আমরা অবৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করতে পারি না।’ কেউ চাইলে আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
 
এই রায় ঘোষণার পর হতাশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও ‘মেক দ্য রোড নিউইয়র্ক-এর সহ-পরিচালক হ্যারল্ড এ. সলিস। এই এনজিওটি মার্কিন অভিবাসন ও অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে।
 
এএফপিকে হ্যারল্ড এ সোলিস বলেন, ‘আদালতের এই আদেশ হতাশাজনক। কিপিং ফ্যামিলিজ টুগেদার বেশ সময়োপযোগী ও চমৎকার একটি কর্মসূচি। এটি বন্ধ হয়ে গেলে অভিবাসীদের প্রতি অবিচার করা হবে।’  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
১০ বার পড়া হয়েছে

বাইডেন সরকারের অভিবাসন কর্মসূচিকে অবৈধ ঘোষণা আদালতের

আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

বাইডেন সরকারের অভিবাসন কর্মসূচিকে অবৈধ ঘোষণা আদালতের।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের অভিবাসন বিষয়ক একটি কর্মসূচি অবৈধ ঘোষণা করেছেন দেশটির একটি আদালত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) আদালত এ রায় দিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের জুন মাসে ‘কিপিং ফ্যামিলিজ টুগেদার’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাইডেন। ওই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল মার্কিন নাগরিকদের সাথে বিবাহিত কিছু অনথিভুক্ত অভিবাসীর জন্য নাগরিকত্ব ও গ্রিনকার্ড পাওয়ার পথ সহজ করা।

 

এ কর্মসূচির শর্ত ছিল, কোনো বৈধ নথিবিহীন অভিবাসী যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে বিয়ে করেন এবং ১০ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন, তাহলে তিনি নাগরিকত্ব ও গ্রিনকার্ডের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে এই দশ বছর কোনো গুরুতর অপরাধ তিনি করতে পারবেন না। যদি এই শর্ত তিনি ভঙ্গ করেন, তাহলে তাকে তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
 
শর্তে আরও বলা হয়, বৈধ নথিবিহীন কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী যদি মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রের আসেন এবং আসার পর বড় ধরনের কোনো অপরাধ না করেন, তাহলে পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবেন এবং এই সময়সীমার মধ্যে তাকে ফেরত পাঠাবে না মার্কিন প্রশাসন।
 
এছাড়া তিন বছর পর এ ধরনের অভিবাসীরা গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলেও উল্লেখ করা হয় কর্মসূচিতে। ২০২৪ সালের ১৭ জুনের আগ পর্যন্ত যেসব অভিবাসী মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, তারা পরিকল্পনা বা কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবেন বলে জানায় বাইডেন প্রশাসন।
 
এই কর্মসূচি ঘোষণা করার প্রায় ২ মাস পর আগস্টে টেক্সাস রাজ্যে এর প্রয়োগে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন বিচারক জে. ক্যাম্পবেল বার্কার। এই বিচারক সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। আর ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনদিন পরই এই কর্মসূচিকে অবৈধ ঘোষণা করলেন তিনি।
 
বিচারক জে. ক্যাম্পবেল বার্কার রায়ে বলেন, ‘আমরা অবৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করতে পারি না।’ কেউ চাইলে আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
 
এই রায় ঘোষণার পর হতাশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও ‘মেক দ্য রোড নিউইয়র্ক-এর সহ-পরিচালক হ্যারল্ড এ. সলিস। এই এনজিওটি মার্কিন অভিবাসন ও অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে।
 
এএফপিকে হ্যারল্ড এ সোলিস বলেন, ‘আদালতের এই আদেশ হতাশাজনক। কিপিং ফ্যামিলিজ টুগেদার বেশ সময়োপযোগী ও চমৎকার একটি কর্মসূচি। এটি বন্ধ হয়ে গেলে অভিবাসীদের প্রতি অবিচার করা হবে।’