রাশিয়ার অভ্যন্তরে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে পুতিনের কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভের সামরিক বিমানঘাঁটিতে পশ্চিমাদের তৈরি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেন। এরমধ্যে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার পাশাপাশি বাকিগুলো অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম দিয়ে প্রতিহত করার দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে রোস্তভ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি শিল্প স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে পার্কিংয়ে থাকা ১৫টি গাড়ি পুড়ে গেছে। অন্যদিকে, কুরস্ক অঞ্চলের আরও দুটি বসতি রুশ সেনারা নিজেদের দখলে নিয়েছে বলে দাবি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
যদিও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার সামরিক বিমান ঘাঁটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে দুটি প্রশাসনিক ভবন ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেও দাবি তাদের। কিয়েভ জানায়, রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে দের ১৪০টির মতো সম্মুখ যুদ্ধ চলছে। এরমধ্যে পোকরোভস্ক ও কুরাখোভ অঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র সংঘাত হয় বলেও জানানো হয়।
গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে তাদের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার অনুমোদন দেয়। এর আগে হোয়াইট হাউজ সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কায় কিয়েভের জন্য এই অস্ত্রের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে আরও বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে পেন্টগন।
মার্কিন গোয়েন্দারা এমন তথ্য পেয়েছে বলে জানান পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং। তিনি দাবি করেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাশিয়া এই হামলা চালাতে পারে।
এদিকে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জানান, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের কোনো দাবি বা শর্ত মেনে নেবে না রাশিয়া। তবে নবনিবার্চিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাদের কোনো সমস্যা নেই। ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।