বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জলবায়ু ফান্ডের অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে -এ কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। জ্বালানি সুবিচারসহ জীবনযাত্রা বদলাতে হবে। আর জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড নিয়ে আগের সরকারের করা অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হবে।
১০ কোটি টাকা রিসার্চের কাজে ব্যয় করার পরও কোনও ফলাফল আসেনি। সঠিকভাবে ফান্ডের অর্থ ব্যয় হয় না। তাই অপব্যবহারের কারণে তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে দাতারা বলেও জানান তিনি।
ঢাকার বায়ুদূষণের সমস্যা সমাধান চার মাসেই সম্ভব নয়। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অংশ। নদী দূষণ, খাল ভরাট, বায়ুদূষণসহ ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করা কঠিন। তবে কাজটা সরকারকে শুরু করতে হবে। এরজন্য ফান্ড পর্যন্ত নেই তারপরেও বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ ইটভাটাসহ পরিবেশে দূষণে দায়ীদের বিরুদ্ধে টাস্ক ফোর্সের অভিযান শুরু হবে। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে, যারা বায়ুদূষণ নিয়ে কাজ করে, তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যাদেরকে ১৪টি গ্রুপে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। মাঠে নামবে আগামী শনিবার থেকে।
রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে নদী ও খাল দখল হচ্ছে। ঢাকার খাল পুনর্খনন ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে-এতে ঢাকার ২১টা খাল চিহ্নিত করা হয়েছে এ কথা জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উন্নয়নয়ের নামে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৮শতাংশ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশবান্ধব পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করার কথা ভাবতে হবে, তাই আগামী ৫ বছর নিজস্ব উদ্যোগেই পরিবেশ রক্ষার পরিকল্পনা নেয়া উচিৎ।