ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রাঙ্গামাটির ক্রীড়া অবকাঠামো নিয়ে হতাশ বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর Logo সোজা আঙুলে না উঠলে বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই: জামায়াত নেতা তাহের Logo তিন বছরে রাহা: ভাইয়ের মেয়েকে জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা রণবীরের বোনের Logo ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস, তার মধ্যস্থাতেই শান্তি স্থাপন Logo প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন Logo জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুললেন বিএনপি নেতা আলাল Logo ইমরান হাশমির কারণে স্কুলে যেতে লজ্জা পাচ্ছেন তার ছেলে আয়ান! Logo স্বর্ণপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কমেছে ভরিপ্রতি দাম Logo প্রেম, পরকীয়া আর বিতর্কে টালমাটাল ব্রিটিশ রাজপরিবার Logo সুদানে আরএসএফ বাহিনীর তাণ্ডব, মানবিক বিপর্যয় তীব্র

চিকিৎসককে মারপিট, অভিযুক্ত মোত্তাকিনকে ধরতে পারেনি পুলিশ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

চিকিৎসককে মারপিট, অভিযুক্ত মোত্তাকিনকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহীন জোয়ার্দারের ওপর হামলার ঘটনার ৭ দিন পার হলেও মূলহোতা ইন্টার্ন নার্স মোত্তাকিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ফুঁসে উঠেছে চিকিৎসক সমাজ।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাব চত্বরে ফরিদপুরের সর্বস্তরের চিকিৎসকদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চিকিৎসকরা। কর্মসূচি শেষে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডা. সানিয়াত জামান। এসময় হামলার মূলহোতাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান চিকিৎসক নেতারা।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন কবির, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা, সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) মো. ফারুক আহমেদ, ডা. সানিয়াত জামান (বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি) প্রমুখ।

গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহীন জোয়ার্দার ট্রমা বিভাগ থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় মোত্তাকিন (২০) নামে এক ইন্টার্ন নার্স তাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনার জেরে বহিরাগতদের ডেকে এনে চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায় মোত্তাকিন। ডা. শাহিন জোয়ার্দার বর্তমানে ঢাকার ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত মোত্তাকিনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত ডা. শাহিন জোয়ার্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। মূল অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে।’


ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা বলেন, ‘আমরা নিরাপদ কর্মস্থল চাই। হাসপাতালে তার ওপর যেভাবে নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক কিছু নেই। এ ঘটনায় মামলা করলেও প্রধান যে আসামি সে এখনও ধরা পড়ে নাই। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
৮৭ বার পড়া হয়েছে

চিকিৎসককে মারপিট, অভিযুক্ত মোত্তাকিনকে ধরতে পারেনি পুলিশ

আপডেট সময় ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

চিকিৎসককে মারপিট, অভিযুক্ত মোত্তাকিনকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহীন জোয়ার্দারের ওপর হামলার ঘটনার ৭ দিন পার হলেও মূলহোতা ইন্টার্ন নার্স মোত্তাকিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ফুঁসে উঠেছে চিকিৎসক সমাজ।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাব চত্বরে ফরিদপুরের সর্বস্তরের চিকিৎসকদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চিকিৎসকরা। কর্মসূচি শেষে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডা. সানিয়াত জামান। এসময় হামলার মূলহোতাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান চিকিৎসক নেতারা।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন কবির, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা, সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) মো. ফারুক আহমেদ, ডা. সানিয়াত জামান (বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি) প্রমুখ।

গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহীন জোয়ার্দার ট্রমা বিভাগ থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় মোত্তাকিন (২০) নামে এক ইন্টার্ন নার্স তাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনার জেরে বহিরাগতদের ডেকে এনে চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায় মোত্তাকিন। ডা. শাহিন জোয়ার্দার বর্তমানে ঢাকার ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত মোত্তাকিনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত ডা. শাহিন জোয়ার্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। মূল অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে।’


ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা বলেন, ‘আমরা নিরাপদ কর্মস্থল চাই। হাসপাতালে তার ওপর যেভাবে নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক কিছু নেই। এ ঘটনায় মামলা করলেও প্রধান যে আসামি সে এখনও ধরা পড়ে নাই। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।