ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষ তাকিয়ে আছে, নির্বাচিত সরকার কবে আসবে: রুমিন ফারহানা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

মানুষ তাকিয়ে আছে, নির্বাচিত সরকার কবে আসবে: রুমিন ফারহানা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুনে মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা একটি শেষ সময়সীমা পেয়েছি। ধরে নিতে পারি যে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

রুমিন বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচন যত দ্রুত হবে, দেশটা তত স্থিতিশীলতার দিকে যাবে। আপনারা দেখছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিংবা দ্রব্যমূল্য অর্ধগতি যে কোনো কিছুই কিন্তু এই অস্থায়ী সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই একটা নির্বাচন হওয়া নিয়ে মানুষ খুব আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। নির্বাচিত সরকার কবে আসবে, মানুষ কবে ভোট দিতে পারবে, যত দ্রুত হয় ততই ভালো।’


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজগুলো করতে না পারার কারণ হচ্ছে, দীর্ঘ ১৫ বছর একটা দুঃসহ একটা অবস্থার মধ্যে ছিল দেশ। সেখান থেকে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা শুরুতে শুনেছিলাম পুলিশ প্রশাসন সেভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে না। এখনো মনে হয় বিষয়গুলো স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আসেনি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও সেভাবে হচ্ছে না। কারণ এই সরকারের মেয়াদ কতটা বা কতদিন মানুষের মধ্যে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই নানা কারণে অবস্থা খুব বেশি স্থিতিশীল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে কিনা জানি না। তবে বাংলার মাটিতে সত্যিকার অর্থেই এই গুম এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিচার হবে। এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যেক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যারা জড়িত, তাদের কারো কোনো রেহাই নেই বলে আমি বিশ্বাস করি।’

বেগম জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা হওয়াটা ভীষণ প্রয়োজন। আপনারা দেখেছেন, তাকে কীভাবে ধীরে ধীরে বিগত সরকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাকে চিকিৎসা করতে দেয়নি। বিদেশে যেতে দেয়নি। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, বাংলাদেশে তার কোন সু-চিকিৎসা হওয়ার উপায় নেই। তারপরও দেখলাম আগের সরকার চলে যাওয়ার পরও উনার শারীরিক অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে, দীর্ঘ সময় উনি দেশের বাইরে যেতে পারেন নি। ইনশাআল্লাহ আশা করছি, উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার তার নেতাকর্মী এবং মানুষের মাঝে ফিরে আসবেন।’

বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সেনা প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎকার সম্পর্কে জানতে চাইলে, সাংবাদিকদের রুমিন ফারহানা বলেন, ‘উনিতো কেবল বিএনপি নেত্রী নন, উনি সারা বাংলাদেশের নেত্রী। বাংলাদেশে তার মতো গণতন্ত্রের জন্য এত সংগ্রাম, এত লড়াই, এত কষ্ট আর কোনো নেতানেত্রী সহ্য করেন নাই। সুতরাং বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের কাছ থেকে এ সম্মানটুকু কিন্তু তার পাওনা। আমি মনে করি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় যোদ্ধা হিসেবে সেনা প্রধান সম্মানের একটি নিদর্শন স্বরূপ তাকে দেখতে গেছেন এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।’

রুমিন বলেন, ‘মাইনাস টু ফর্মুলা যদি কেউ চেষ্টা করে থাকে, সেটি বাংলাদেশের সফল হবে না। অতীতেও হয়নি, এখনও হবে না, ভবিষ্যতেও হবে না।’

এ সময় তার সঙ্গে সরল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

মানুষ তাকিয়ে আছে, নির্বাচিত সরকার কবে আসবে: রুমিন ফারহানা

আপডেট সময় ১১:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

মানুষ তাকিয়ে আছে, নির্বাচিত সরকার কবে আসবে: রুমিন ফারহানা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুনে মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা একটি শেষ সময়সীমা পেয়েছি। ধরে নিতে পারি যে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

রুমিন বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচন যত দ্রুত হবে, দেশটা তত স্থিতিশীলতার দিকে যাবে। আপনারা দেখছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিংবা দ্রব্যমূল্য অর্ধগতি যে কোনো কিছুই কিন্তু এই অস্থায়ী সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই একটা নির্বাচন হওয়া নিয়ে মানুষ খুব আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। নির্বাচিত সরকার কবে আসবে, মানুষ কবে ভোট দিতে পারবে, যত দ্রুত হয় ততই ভালো।’


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজগুলো করতে না পারার কারণ হচ্ছে, দীর্ঘ ১৫ বছর একটা দুঃসহ একটা অবস্থার মধ্যে ছিল দেশ। সেখান থেকে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা শুরুতে শুনেছিলাম পুলিশ প্রশাসন সেভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে না। এখনো মনে হয় বিষয়গুলো স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আসেনি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও সেভাবে হচ্ছে না। কারণ এই সরকারের মেয়াদ কতটা বা কতদিন মানুষের মধ্যে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই নানা কারণে অবস্থা খুব বেশি স্থিতিশীল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে কিনা জানি না। তবে বাংলার মাটিতে সত্যিকার অর্থেই এই গুম এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিচার হবে। এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যেক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যারা জড়িত, তাদের কারো কোনো রেহাই নেই বলে আমি বিশ্বাস করি।’

বেগম জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা হওয়াটা ভীষণ প্রয়োজন। আপনারা দেখেছেন, তাকে কীভাবে ধীরে ধীরে বিগত সরকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাকে চিকিৎসা করতে দেয়নি। বিদেশে যেতে দেয়নি। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, বাংলাদেশে তার কোন সু-চিকিৎসা হওয়ার উপায় নেই। তারপরও দেখলাম আগের সরকার চলে যাওয়ার পরও উনার শারীরিক অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে, দীর্ঘ সময় উনি দেশের বাইরে যেতে পারেন নি। ইনশাআল্লাহ আশা করছি, উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার তার নেতাকর্মী এবং মানুষের মাঝে ফিরে আসবেন।’

বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সেনা প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎকার সম্পর্কে জানতে চাইলে, সাংবাদিকদের রুমিন ফারহানা বলেন, ‘উনিতো কেবল বিএনপি নেত্রী নন, উনি সারা বাংলাদেশের নেত্রী। বাংলাদেশে তার মতো গণতন্ত্রের জন্য এত সংগ্রাম, এত লড়াই, এত কষ্ট আর কোনো নেতানেত্রী সহ্য করেন নাই। সুতরাং বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের কাছ থেকে এ সম্মানটুকু কিন্তু তার পাওনা। আমি মনে করি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় যোদ্ধা হিসেবে সেনা প্রধান সম্মানের একটি নিদর্শন স্বরূপ তাকে দেখতে গেছেন এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।’

রুমিন বলেন, ‘মাইনাস টু ফর্মুলা যদি কেউ চেষ্টা করে থাকে, সেটি বাংলাদেশের সফল হবে না। অতীতেও হয়নি, এখনও হবে না, ভবিষ্যতেও হবে না।’

এ সময় তার সঙ্গে সরল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।