ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদেশ পৌঁছেনি, আজই মুক্তি পাচ্ছেন না বাবর: কারা অধিদফতর

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

আদেশ পৌঁছেনি, আজই মুক্তি পাচ্ছেন না বাবর: কারা অধিদফতর।

চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় করা আরেক মামলার সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন। খালাস পাওয়ায় বাবরের কারামুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ মামলায় পাঁচজনকে সাজা দেয়া হয়েছে।

 

তবে কারা অধিদফতর বলছে আদেশের কপি তাদের কাছে পৌঁছেনি। তাই আজই মুক্তি পাচ্ছেন না লুৎফুজ্জামান বাবর।

 

এরআগে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাবরসহ পাঁচ জনকে খালাস দেন।
 
খালাস পাওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন- রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, নুরুল আমিন, মহসীন তালুকদার ও এনামুল হক। এ ছাড়া যাবজ্জীবনের পরিবর্তে উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে ১৪ বছর এবং ১০ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে আকবর হোসেন, লিয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান ও শাহাবুদ্দিনকে।
 
আর মৃত্যুর কারণে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, দীন মোহাম্মদ, আব্দুর রহিম ও হাজী আব্দুস সোবহানের আপিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
 
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অন্য পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। এদিন আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির খালাস চেয়ে এ আবেদন করেন।
 
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া চোরাচালান মামলায় ফাঁসির সাজা থেকে খালাস পান বাবর। 

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।

 
এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের। 

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয় এবং তা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। একই সময়ে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

আদেশ পৌঁছেনি, আজই মুক্তি পাচ্ছেন না বাবর: কারা অধিদফতর

আপডেট সময় ০৯:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

আদেশ পৌঁছেনি, আজই মুক্তি পাচ্ছেন না বাবর: কারা অধিদফতর।

চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় করা আরেক মামলার সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন। খালাস পাওয়ায় বাবরের কারামুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ মামলায় পাঁচজনকে সাজা দেয়া হয়েছে।

 

তবে কারা অধিদফতর বলছে আদেশের কপি তাদের কাছে পৌঁছেনি। তাই আজই মুক্তি পাচ্ছেন না লুৎফুজ্জামান বাবর।

 

এরআগে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাবরসহ পাঁচ জনকে খালাস দেন।
 
খালাস পাওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন- রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, নুরুল আমিন, মহসীন তালুকদার ও এনামুল হক। এ ছাড়া যাবজ্জীবনের পরিবর্তে উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে ১৪ বছর এবং ১০ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে আকবর হোসেন, লিয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান ও শাহাবুদ্দিনকে।
 
আর মৃত্যুর কারণে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, দীন মোহাম্মদ, আব্দুর রহিম ও হাজী আব্দুস সোবহানের আপিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
 
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অন্য পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। এদিন আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির খালাস চেয়ে এ আবেদন করেন।
 
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া চোরাচালান মামলায় ফাঁসির সাজা থেকে খালাস পান বাবর। 

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।

 
এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের। 

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয় এবং তা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। একই সময়ে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।