ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo শেখ হাসিনা-কামালকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ Logo বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কমেছে, অর্থায়নে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ উৎস নির্ভরতা Logo আজ শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শুনানি Logo ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল Logo বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ জুন) Logo ইরানে হামলার নিন্দা জানালো সৌদি, প্রিন্স সালমান-পেজেশকিয়ান ফোনালাপ Logo রাতভর হামলায় দিশেহারা ইসরায়েল, এখনও নিখোঁজ ৩৫ Logo ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে প্রাণহানি বেড়ে ১২, আহত দুই শতাধিক Logo আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন: রাশেদ খাঁন Logo উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ভাই হারালেন বিক্রান্ত ম্যাসি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু

নিজস্ব সংবাদ :

ফাইল ছবি

গ্লোবাল স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানান।

ফয়েজ আহমদ লেখেন, “স্টারলিংক এখন অফিশিয়ালি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্টেও তা প্রকাশ করেছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছে— “রেসিডেন্স” ও “রেসিডেন্স লাইট”। রেসিডেন্স প্যাকেজের মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজের খরচ ৪২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন ৪৭ হাজার টাকা খরচে সরঞ্জাম (ডিভাইস) কিনতে হবে।

এই সেবা নিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, “এই ইন্টারনেট সার্ভিসে কোনো গতি বা ডেটা সীমাবদ্ধতা নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিডে আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকেই স্টারলিংকের সেবা অর্ডার করতে পারবেন। এটি ৯০ দিনের মধ্যে এই সেবার চালু করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেওয়া উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ মন্তব্য করেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উন্নত মানের এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যদিও এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে দেশের দুর্গম এবং অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের জন্য এটি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে উদ্যোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির সংযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
১৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

গ্লোবাল স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানান।

ফয়েজ আহমদ লেখেন, “স্টারলিংক এখন অফিশিয়ালি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্টেও তা প্রকাশ করেছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছে— “রেসিডেন্স” ও “রেসিডেন্স লাইট”। রেসিডেন্স প্যাকেজের মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজের খরচ ৪২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন ৪৭ হাজার টাকা খরচে সরঞ্জাম (ডিভাইস) কিনতে হবে।

এই সেবা নিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, “এই ইন্টারনেট সার্ভিসে কোনো গতি বা ডেটা সীমাবদ্ধতা নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিডে আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকেই স্টারলিংকের সেবা অর্ডার করতে পারবেন। এটি ৯০ দিনের মধ্যে এই সেবার চালু করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেওয়া উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ মন্তব্য করেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উন্নত মানের এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যদিও এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে দেশের দুর্গম এবং অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের জন্য এটি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে উদ্যোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির সংযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন।