ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo বাগেরহাটে টেলিস্কোপে চাঁদ-তারা দেখে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস Logo ওমরজাইয়ের দাপটেই আফগানিস্তানের জয়, বাংলাদেশ হোঁচট খেল প্রথম ওয়ানডেতে Logo শুধু হামজা নয়, বাংলাদেশের পুরো দলকেই নজরে রাখছেন হংকং কোচ Logo রাতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Logo এক লাফে ৬,৯০৬ টাকা বৃদ্ধি, ভরিতে স্বর্ণের নতুন রেকর্ড দাম Logo পাকিস্তানি অভিযানে ১৯ ভারতীয় প্রক্সি সন্ত্রাসী নিধন Logo রাশিয়ার হাতে যুদ্ধের লাগাম, ইউক্রেনের পাল্টা দাবি Logo এ বছরের রসায়ন নোবেল: তিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo শেখ হাসিনার মামলায় নতুন অধ্যায়: রোববার থেকে যুক্তিতর্ক

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু

নিজস্ব সংবাদ :

ফাইল ছবি

গ্লোবাল স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানান।

ফয়েজ আহমদ লেখেন, “স্টারলিংক এখন অফিশিয়ালি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্টেও তা প্রকাশ করেছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছে— “রেসিডেন্স” ও “রেসিডেন্স লাইট”। রেসিডেন্স প্যাকেজের মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজের খরচ ৪২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন ৪৭ হাজার টাকা খরচে সরঞ্জাম (ডিভাইস) কিনতে হবে।

এই সেবা নিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, “এই ইন্টারনেট সার্ভিসে কোনো গতি বা ডেটা সীমাবদ্ধতা নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিডে আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকেই স্টারলিংকের সেবা অর্ডার করতে পারবেন। এটি ৯০ দিনের মধ্যে এই সেবার চালু করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেওয়া উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ মন্তব্য করেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উন্নত মানের এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যদিও এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে দেশের দুর্গম এবং অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের জন্য এটি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে উদ্যোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির সংযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

গ্লোবাল স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানান।

ফয়েজ আহমদ লেখেন, “স্টারলিংক এখন অফিশিয়ালি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্টেও তা প্রকাশ করেছে।”

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছে— “রেসিডেন্স” ও “রেসিডেন্স লাইট”। রেসিডেন্স প্যাকেজের মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজের খরচ ৪২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন ৪৭ হাজার টাকা খরচে সরঞ্জাম (ডিভাইস) কিনতে হবে।

এই সেবা নিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, “এই ইন্টারনেট সার্ভিসে কোনো গতি বা ডেটা সীমাবদ্ধতা নেই। ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিডে আনলিমিটেড ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকেই স্টারলিংকের সেবা অর্ডার করতে পারবেন। এটি ৯০ দিনের মধ্যে এই সেবার চালু করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেওয়া উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ মন্তব্য করেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উন্নত মানের এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যদিও এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে দেশের দুর্গম এবং অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের জন্য এটি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংকের মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে উদ্যোগ নিতে পারবে। পাশাপাশি, এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির সংযোগ নিশ্চিত করতে পারবেন।