ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo  আট বছর পর হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় আপেল আমদানি পুনরায় শুরু Logo বিএনপির পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে, আওয়ামী লীগের মতো পরিণতি অপেক্ষায়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Logo ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাইওয়ানের উপ-রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে চীনের তীব্র প্রতিক্রিয়া Logo তাহসান কি সত্যিই রাজনীতিতে নামছেন Logo গণভোট হলে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনায় সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে: নির্বাচন কমিশন Logo ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার বিএনপির: আমীর খসরু Logo প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের স্ত্রী গারিমা সাইকিয়া অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি Logo অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ইন্দোনেশিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে নকআউটে ব্রাজিল Logo গাজীপুরের টঙ্গীতে তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড Logo ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন, জোয়ারে দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ: প্রেস সচিব

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা।

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।


খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত ভালোই। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত বা স্টক করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবেন না।


খাদ্যঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাল ও গম মিলিয়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়া ও ভারত থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানি হবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে চাল কেনা যাবে। কিন্তু ভারতে চালের দাম এবং সরবরাহ খরচ কম থাকায় ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হবে। এছাড়া পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে চুক্তি করা হয়েছে। আবার ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
 

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, চালের দাম এখন কেজি প্রতি ৬০ টাকার মতো। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে। চালের দামে অস্থিরতা কমেছে। দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে। মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে। এই চালের আমদানি নির্ভর করে, বোরো ধান উৎপাদনের ওপর। যদি উৎপাদন ভালো হয় তাহলে আমদানি কমবে, যদি কম হয় তাহলে বাড়তেও পারে।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, অকাল বন্যার কারণে আমনের ঘাটতি হয়েছে। ঘাটতি হয়েছে আউশেও। আমাদের সামনে আছে বোরো। আমরা আশা করছি, যদি বোরো ভালো উৎপাদন হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমদানি কমাতে পারব। তবে এ জন্য আমরা অপেক্ষা করব না। বিদেশ থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে।
 

চালের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ত্রিশ টাকা দামে ওএমএসএর মাধ্যমে চাল দিচ্ছি। টিসিবিও কম দামে চাল দিচ্ছে।

এখন চালের দাম স্বাভাবিক কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও কমলে ভালো, খুশি হব। তবে কৃষকের কথাও ভাবতে হবে। উৎপাদন ব্যয়ের কথাও চিন্তা করতে হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
১১৪ বার পড়া হয়েছে

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:০২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা।

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।


খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত ভালোই। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত বা স্টক করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবেন না।


খাদ্যঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাল ও গম মিলিয়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়া ও ভারত থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানি হবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে চাল কেনা যাবে। কিন্তু ভারতে চালের দাম এবং সরবরাহ খরচ কম থাকায় ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হবে। এছাড়া পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে চুক্তি করা হয়েছে। আবার ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
 

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, চালের দাম এখন কেজি প্রতি ৬০ টাকার মতো। তবে বোরোর ফলন কম-বেশির ওপর আমদানি নির্ভর করবে। চালের দামে অস্থিরতা কমেছে। দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে। মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে। এই চালের আমদানি নির্ভর করে, বোরো ধান উৎপাদনের ওপর। যদি উৎপাদন ভালো হয় তাহলে আমদানি কমবে, যদি কম হয় তাহলে বাড়তেও পারে।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, অকাল বন্যার কারণে আমনের ঘাটতি হয়েছে। ঘাটতি হয়েছে আউশেও। আমাদের সামনে আছে বোরো। আমরা আশা করছি, যদি বোরো ভালো উৎপাদন হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমদানি কমাতে পারব। তবে এ জন্য আমরা অপেক্ষা করব না। বিদেশ থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে।
 

চালের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ত্রিশ টাকা দামে ওএমএসএর মাধ্যমে চাল দিচ্ছি। টিসিবিও কম দামে চাল দিচ্ছে।

এখন চালের দাম স্বাভাবিক কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও কমলে ভালো, খুশি হব। তবে কৃষকের কথাও ভাবতে হবে। উৎপাদন ব্যয়ের কথাও চিন্তা করতে হবে।