আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের; তানজিদের বিশ্ব রেকর্ডে উজ্জ্বল টাইগাররা
তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেট ব্যবধানে পরাজিত করে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৮ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লাল–সবুজের দলটি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালোই ছিল অতিথিদের। তবে দলীয় ৩৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল ইসলাম। টিম টেক্টরকে ১৭ রানে থামান তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় বলেই আউট হন হ্যারি টেক্টর।
পরে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারের ব্যাট থেকে বড় কোনো ইনিংস আসেনি। স্টার্লিং আক্রমণাত্মক হতে চাইলে রিশাদ হোসেন তার প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেন। তারপর ডকরেল ১৯ রানে বিদায় নিলে ১১৭ রানেই থামে আইরিশদের ইনিংস।
দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের অসাধারণ ফিল্ডিং। আয়ারল্যান্ডের শেষ পাঁচ ব্যাটারই তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দেশের কোনো ফিল্ডারের এক ম্যাচে ৫ ক্যাচ নেওয়ার এটি প্রথম ঘটনা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন সমান ৩টি করে উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম শিকার করেন ২ উইকেট।
১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামলে ওপেনিংয়ে ৩৮ রান যোগ করার পর সাইফ হাসান ১৯ রানে আউট হন ক্রেইগ ইয়াংয়ের বলে। এরপর লিটন দাস ক্যাম্ফারের হাতে ক্যাচ দিয়ে টেক্টরের বলে ফিরলে চাপ বাড়তে পারত। তবে তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ৭৩ রানের অপরাজিত জুটি সহজ জয় এনে দেয় স্বাগতিকদের।
৩৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে তানজিদ ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন—টি–টোয়েন্টিতে এটি তার ১১তম ফিফটি। ইমনও সঙ্গ দেন ৩৩ রানে।
প্রথম দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ ছিল ১–১ এ সমতায়। ফলে শেষ ম্যাচটি হয়ে ওঠে অলিখিত ফাইনাল। এই জয় শুধু সিরিজটাই নিশ্চিত করেনি, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও আরও শাণিত করলো টাইগারদের।
















