হেইলি ম্যাথিউসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ষষ্ঠবারের মতো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছয় উইকেটে পাওয়া এই জয়ে সাউথ আফ্রিকাকে সঙ্গে নিয়ে শেষ চারে উঠে গেল দলটি। অন্যদিকে দীর্ঘ ১৪ বছর পর সেমির আগেই বিদায় নিতে হলো ইংল্যান্ডকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সাউথ আফ্রিকার মতো চার ম্যাচে তিনটি জয় থাকলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশ নারীদের।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংলিশদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে হেরে আগে ব্যাটে নেমে ৭ উইকেটে ১৪১ রানের সংগ্রহ পায় ইংলিশবাহিনী। জবাবে নেমে ১২ বল হাতে রেখে জয়ের বন্ধরে নোঙর করে ক্যারিবীয় মেয়েরা।
১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে ব্যাট চালান ম্যাথিউস এবং কিয়ানা জোসেফ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শতরানের জুটি গড়েন তারা। ১২.২ ওভারে দলীয় ১০২ রানে ভাঙে এই জুটি। ১০৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারই অবশ্য ফিরে যান।
ফেরার আগে হাফ সেঞ্চুরি পান দুজনই। ৩৮ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫২ রান করেন কিয়ানা। ৩৮ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ রান করেন ম্যাথিউস। ১৯ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৭ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন দিন্দ্রা ডটিন।
মাঝে শিমাইনে ক্যাম্পবেলে ৫ রানে রানআউট হন। চিনেলি হেনরি শূন্য আলিয়াহ অ্যালিনি ৬ রানে অপরাজিত থেকে ১৮ ওভারেই খেলা শেষ করেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড। আফি ফ্লেচার এবং ম্যাথিউসের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে শুরু থেকেই চাপে ছিল দলটি।
দলীয় ৩৪ রানের মধ্যে দলটির প্রথম দিন ব্যাটারকে বিদায় করেন ফ্লেচার-ম্যাথিউসরা। ড্যানি ওয়াট-হজ ১৬, অ্যালিস ক্যাপসে ১ এবং মাইয়া বুসিয়ার ১৪ রানে ফিরে গেলে দলটির হাল ধরেন ন্যাট স্কেইভার-ব্রান্ট এবং হিদার নাইট। ৪৬ রানে অসম্পূর্ণ থাকে এই জুটি। দলীয় ৮০ রানে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ২১ রান করা নাইট।
ইংলিশ অধিনায়ক মাঠ ছাড়লেও লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন স্কেইভার-ব্রান্ট। ফ্লেচার-ম্যাথিউসদের দাপটে শেষদিকের ব্যাটাররা সেভাবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। সকলেই ফিরে যান এক অঙ্কের ঘরে।
শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন স্কেইভার-ব্রান্ট। সাত উইকেটে ১৪১ রান করে ইংল্যান্ড। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ২১ রান খরচায় তিন উইকেট নেন ফ্লেচার। ৩৫ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ম্যাথিউস।