ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo নারী ফুটবলের উত্থানেও ফাঁকা গ্যালারি—কার দায় সাফ না বাফুফের? Logo “নিরপেক্ষ ইসি ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়”: যশোরে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম Logo চাঁদপুরে সুপারি বাগান থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, পরিবার বলছে হত্যাকাণ্ড Logo হাসপাতাল থেকে ভিডিও বার্তায় রাকিব হাসান: ভাগ্নে সাকিবের জন্য দোয়া চাইলেন Logo মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: মাহিনের ৫ ও রবিনের ২ দিনের রিমান্ড Logo কর্ণফুলী ইপিজেডে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিট কাজ করছে Logo জুমার দিনে পালনযোগ্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আমল Logo কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলিবর্ষণ, দায় স্বীকার করল খালিস্তানি সংগঠন Logo ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগে নির্মাতা ও অভিনেতাদের লিগ্যাল নোটিশ Logo শুক্র ও শনিবার খোলা থাকবে কাস্টম হাউজ, চলবে আমদানি-রফতানি

জুমার দিনে পালনযোগ্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আমল

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে জুমাবার ইসলামে বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত। এ দিনকে “সপ্তাহের ঈদ” বলা হয়ে থাকে, যার ফজিলত ও বরকত অপরিসীম। পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসে জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে, যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১. গোসল ও মসজিদে আগে যাওয়া
জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করা এবং সময়মতো মসজিদে যাওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি গোসল করে প্রথমে মসজিদে পৌঁছায় এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়। (আবু দাউদ ৩৪৫, বোখারি ৮৪১)

২. জুমার নামাজ
জুমার নামাজ ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছোট গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়, যদি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়। (মুসলিম ২৩৩)

৩. দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত
জুমার দিন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহর কাছে করা দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। এই সময়টি আসরের পর সন্ধ্যার আগে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তাই এই সময়ে বিশেষভাবে দোয়া করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। (আবু দাউদ ১০৪৮)

৪. সুরা কাহাফ পাঠ
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলের একটি হলো সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যারা এ দিন সুরা কাহাফ পাঠ করে, তাদের জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত হয়ে যায়। এছাড়া দাজ্জালের ফিতনা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। (তারগিব ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক ২/৩৯৯)

৫. দরুদ শরিফ পাঠ
জুমার দিনে রাসুল (সা.)-এর ওপর বেশি পরিমাণ দরুদ পড়ার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, এই দিনে পাঠ করা দরুদ সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে পেশ করা হয়। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তাঁর দেহ মাটি ভক্ষণ করবে না, কারণ আল্লাহ তা নিষিদ্ধ করেছেন। (আবু দাউদ ১০৪৭)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

জুমার দিনে পালনযোগ্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আমল

আপডেট সময় ০৫:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে জুমাবার ইসলামে বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত। এ দিনকে “সপ্তাহের ঈদ” বলা হয়ে থাকে, যার ফজিলত ও বরকত অপরিসীম। পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসে জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে, যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১. গোসল ও মসজিদে আগে যাওয়া
জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করা এবং সময়মতো মসজিদে যাওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি গোসল করে প্রথমে মসজিদে পৌঁছায় এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়। (আবু দাউদ ৩৪৫, বোখারি ৮৪১)

২. জুমার নামাজ
জুমার নামাজ ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছোট গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়, যদি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়। (মুসলিম ২৩৩)

৩. দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত
জুমার দিন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহর কাছে করা দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। এই সময়টি আসরের পর সন্ধ্যার আগে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তাই এই সময়ে বিশেষভাবে দোয়া করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। (আবু দাউদ ১০৪৮)

৪. সুরা কাহাফ পাঠ
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলের একটি হলো সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যারা এ দিন সুরা কাহাফ পাঠ করে, তাদের জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত হয়ে যায়। এছাড়া দাজ্জালের ফিতনা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। (তারগিব ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক ২/৩৯৯)

৫. দরুদ শরিফ পাঠ
জুমার দিনে রাসুল (সা.)-এর ওপর বেশি পরিমাণ দরুদ পড়ার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, এই দিনে পাঠ করা দরুদ সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে পেশ করা হয়। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তাঁর দেহ মাটি ভক্ষণ করবে না, কারণ আল্লাহ তা নিষিদ্ধ করেছেন। (আবু দাউদ ১০৪৭)