জুমার দিনে পালনযোগ্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আমল
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে জুমাবার ইসলামে বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত। এ দিনকে “সপ্তাহের ঈদ” বলা হয়ে থাকে, যার ফজিলত ও বরকত অপরিসীম। পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসে জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে, যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. গোসল ও মসজিদে আগে যাওয়া
জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করা এবং সময়মতো মসজিদে যাওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি গোসল করে প্রথমে মসজিদে পৌঁছায় এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়। (আবু দাউদ ৩৪৫, বোখারি ৮৪১)
২. জুমার নামাজ
জুমার নামাজ ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছোট গুনাহগুলো মাফ হয়ে যায়, যদি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়। (মুসলিম ২৩৩)
৩. দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত
জুমার দিন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহর কাছে করা দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। এই সময়টি আসরের পর সন্ধ্যার আগে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তাই এই সময়ে বিশেষভাবে দোয়া করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। (আবু দাউদ ১০৪৮)
৪. সুরা কাহাফ পাঠ
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলের একটি হলো সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যারা এ দিন সুরা কাহাফ পাঠ করে, তাদের জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত হয়ে যায়। এছাড়া দাজ্জালের ফিতনা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। (তারগিব ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক ২/৩৯৯)
৫. দরুদ শরিফ পাঠ
জুমার দিনে রাসুল (সা.)-এর ওপর বেশি পরিমাণ দরুদ পড়ার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, এই দিনে পাঠ করা দরুদ সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে পেশ করা হয়। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তাঁর দেহ মাটি ভক্ষণ করবে না, কারণ আল্লাহ তা নিষিদ্ধ করেছেন। (আবু দাউদ ১০৪৭)