দেশের মাঠেই শেষ সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান সাকিব
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা সাকিব আল হাসান জানালেন—নিজ দেশের মাটিতে এক পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা তার। সব ফরম্যাট থেকে একসঙ্গে বিদায় নিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) প্রচারিত ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টের একটি পর্বে সাকিব তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ভাবনা খোলাখুলি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে রাজনীতির পথচলায় এখনও অনেক কিছু বাকি আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মুখ হিসেবে পরিচিত সাকিব, ব্যাট-বলে যার অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে। তবে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই আড়ালে চলে যান তিনি। এ সময় অনেকেই তার ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ধরে নিলেও, সাকিব জানালেন ভিন্ন কথা—দেশে ফিরে সমর্থকদের সামনেই শেষবারের মতো খেলতে চান তিনি।
পডকাস্টে সাকিব বলেন, “আমি আশা করি আবারও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারব। দেশের মাটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে তিন ফরম্যাট থেকেই বিদায় নিতে চাই। কোন ফরম্যাট আগে হবে—টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে নাকি টেস্ট—এটা নিয়ে আমার বিশেষ ভাবনা নেই।”
সমর্থকদের ভালোবাসাকেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখছেন তিনি। তাই তাদের সামনে শেষবার মাঠে নামার ইচ্ছা দৃঢ় তার। এজন্যই ফিটনেস ধরে রাখতে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন বলে জানান সাকিব।
তার ভাষায়, “সমর্থকরাই আমার আসল প্রেরণা। তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছেন। তাই তাদের উপস্থিতিতেই ক্যারিয়ারের শেষটা দেখতে চাই। আর ফিট থাকতে লিগগুলো খেলছি।”
রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই জাতীয় দলে তাকে দেখা যায়নি। ২০২৪ সালের ভারত সফরের পর আর বাংলাদেশ দলের হয়ে মাঠে নামেননি তিনি। তবে মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক অধ্যায় এখনও বাকি আছে বলে মনে করেন সাকিব।
তিনি আরও বলেন, “আমার ক্রিকেট অধ্যায় প্রায় শেষ। এখন মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করতে চাই—বিশেষ করে মাগুরার মানুষের জন্য। রাজনৈতিক পথচলা আমার সামনে আরও অনেকটাই বাকি।”
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভাবছিলেন সাকিব। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।















