ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য ছিলো লজ্জাজনক পরাজয়, যা সিরিজ হারানোর দিকে নিয়ে গেল

নিজস্ব সংবাদ :

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য ছিলো লজ্জাজনক পরাজয়, যা সিরিজ হারানোর দিকে নিয়ে গেল।

অতীতে একটি লজ্জাজনক হার নিয়ে স্ট্রিক্ক টুইস্ট এসেছে, যেখানে বাংলাদেশ সিরিজ খোয়াতে বাধ্য হলো। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে, বাংলাদেশ ভারতের কাছে ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হারিয়ে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নিতিশ ও রিঙ্কুর উপর নির্ভর করে স্বাগতিকরা ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ করে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের নতুন সর্বাধিক স্কোর গড়ার ঘটনা ঘটে। চলতি বছর অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে তারা সর্বশেষ ১৯৬ রান তুলেছিল। বাংলাদেশ ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে থেমে যাবে।

 

লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশী ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং লিটন দাস শুরুতে কিছুটা সচেতনভাবে খেলছেন। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দলীয় চিত্রের পরিবর্তন হয়। ১৬ রানে অর্শদীপ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ইমন। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটও এদিন যথেষ্ট কার্যকরী হয়নি। মাত্র ১১ রানে ওয়াশিংটনের বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লিটনও ফিরে যান, তিনি ১৪ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হন। বিশাল লক্ষ্য সামনে রেখে মাত্র ৪২ রানে টপ অর্ডারের তিন জন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

 

নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়, কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। অভিষেক শর্মার বলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহর সাথে মেহেদী মিরাজ ৩৪ রানের একটি জুটি গড়েন, যা ছিল ইনিংসে সর্বোচ্চ।

 

মাহমুদউল্লাহ একপ্রান্তে সময় কাটানোর চেষ্টা করলেও, অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পতনের কারণে বাংলাদেশ হারের শঙ্কায় পড়ে যায়। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান, কিন্তু মিডল অর্ডার ও টেলএন্ডাররা ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ দল ১৩৫ রানে থেমে যায়।

 

ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন নিতিশ ও বরুন। ১টি করে উইকেট পান অর্শদীপ, ওয়াশিংটন, অভিষেক, মায়াঙ্ক এবং রিয়ান।

 

আগে, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নিয়েছে ভারত, যেখানে নিতিশ ও রিঙ্কুর ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে রান সংগ্রহ করেন তারা। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে কিছুটা গতির অভাব থাকলেও পরবর্তীতে রান নিয়ে প্রবাহিত হন স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ দলের পক্ষে বোলিং শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি এক ওভারে ১৫ রান দিয়ে টসের অধিনায়কের পরিবর্তে তানজিম সাকিবকে বোলিংয়ে আনা হয়। বোলিংয়ে এসে, নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলেই ওপেনার সঞ্জু স্যামসনকে আউট করেন তাসকিন, যিনি ব্যক্তিগত ১০ রানে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন।

 

তিন ওভারের শেষে, তানজিম সাকিব বোলিংয়ে এসে উড়ন্ত ১৪৭ কিমি গতির বলে আরেক ওপেনার অভিষেকের স্টাম্প ছিটকে দেন। তিনি ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ভারতীয় শিবিরে তৃতীয় আঘাতটি হানেন মোস্তাফিজুর রহমান, শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার।

 

এখান থেকে ইনিংসে আবির্ভাব ঘটে নিতিশ ও রিঙ্কুর। দুজন মিলে ১০৮ রানের একটি জুটি গড়েন। নিতিশ ৭৪ রানে মোস্তাফিজের বলেই মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। অর্ধশতক তুলে নিয়ে, রিঙ্কুও ৫৩ রানে তাসকিনের বলে জাকেরের ক্যাচে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন। হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগ যথাক্রমে ৩২ ও ১৫ রান সংগ্রহ করেন। শেষ পর্যন্ত ভারত ২২১ রানে থামেন।

বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন। তাসকিন, তানজিম সাকিব এবং মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

 

এটা উল্লেখযোগ্য যে, পাঁচ বছর আগে এই একই মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র টি-২০১০ ম্যাচের জয় পেয়েছিল। আজকের ম্যাচ শেষে উভয় দলের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৬ বারের সাক্ষাতে ভারত ১৫ বার জয় লাভ করেছে। আগামী ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে আবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ।””

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
২১ বার পড়া হয়েছে

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য ছিলো লজ্জাজনক পরাজয়, যা সিরিজ হারানোর দিকে নিয়ে গেল

আপডেট সময় ১১:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য ছিলো লজ্জাজনক পরাজয়, যা সিরিজ হারানোর দিকে নিয়ে গেল।

অতীতে একটি লজ্জাজনক হার নিয়ে স্ট্রিক্ক টুইস্ট এসেছে, যেখানে বাংলাদেশ সিরিজ খোয়াতে বাধ্য হলো। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে, বাংলাদেশ ভারতের কাছে ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হারিয়ে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নিতিশ ও রিঙ্কুর উপর নির্ভর করে স্বাগতিকরা ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ করে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের নতুন সর্বাধিক স্কোর গড়ার ঘটনা ঘটে। চলতি বছর অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে তারা সর্বশেষ ১৯৬ রান তুলেছিল। বাংলাদেশ ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে থেমে যাবে।

 

লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশী ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং লিটন দাস শুরুতে কিছুটা সচেতনভাবে খেলছেন। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দলীয় চিত্রের পরিবর্তন হয়। ১৬ রানে অর্শদীপ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ইমন। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটও এদিন যথেষ্ট কার্যকরী হয়নি। মাত্র ১১ রানে ওয়াশিংটনের বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লিটনও ফিরে যান, তিনি ১৪ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হন। বিশাল লক্ষ্য সামনে রেখে মাত্র ৪২ রানে টপ অর্ডারের তিন জন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

 

নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়, কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। অভিষেক শর্মার বলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহর সাথে মেহেদী মিরাজ ৩৪ রানের একটি জুটি গড়েন, যা ছিল ইনিংসে সর্বোচ্চ।

 

মাহমুদউল্লাহ একপ্রান্তে সময় কাটানোর চেষ্টা করলেও, অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পতনের কারণে বাংলাদেশ হারের শঙ্কায় পড়ে যায়। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান, কিন্তু মিডল অর্ডার ও টেলএন্ডাররা ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ দল ১৩৫ রানে থেমে যায়।

 

ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন নিতিশ ও বরুন। ১টি করে উইকেট পান অর্শদীপ, ওয়াশিংটন, অভিষেক, মায়াঙ্ক এবং রিয়ান।

 

আগে, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নিয়েছে ভারত, যেখানে নিতিশ ও রিঙ্কুর ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে রান সংগ্রহ করেন তারা। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে কিছুটা গতির অভাব থাকলেও পরবর্তীতে রান নিয়ে প্রবাহিত হন স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ দলের পক্ষে বোলিং শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি এক ওভারে ১৫ রান দিয়ে টসের অধিনায়কের পরিবর্তে তানজিম সাকিবকে বোলিংয়ে আনা হয়। বোলিংয়ে এসে, নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলেই ওপেনার সঞ্জু স্যামসনকে আউট করেন তাসকিন, যিনি ব্যক্তিগত ১০ রানে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন।

 

তিন ওভারের শেষে, তানজিম সাকিব বোলিংয়ে এসে উড়ন্ত ১৪৭ কিমি গতির বলে আরেক ওপেনার অভিষেকের স্টাম্প ছিটকে দেন। তিনি ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ভারতীয় শিবিরে তৃতীয় আঘাতটি হানেন মোস্তাফিজুর রহমান, শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার।

 

এখান থেকে ইনিংসে আবির্ভাব ঘটে নিতিশ ও রিঙ্কুর। দুজন মিলে ১০৮ রানের একটি জুটি গড়েন। নিতিশ ৭৪ রানে মোস্তাফিজের বলেই মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। অর্ধশতক তুলে নিয়ে, রিঙ্কুও ৫৩ রানে তাসকিনের বলে জাকেরের ক্যাচে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন। হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগ যথাক্রমে ৩২ ও ১৫ রান সংগ্রহ করেন। শেষ পর্যন্ত ভারত ২২১ রানে থামেন।

বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন। তাসকিন, তানজিম সাকিব এবং মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

 

এটা উল্লেখযোগ্য যে, পাঁচ বছর আগে এই একই মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র টি-২০১০ ম্যাচের জয় পেয়েছিল। আজকের ম্যাচ শেষে উভয় দলের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৬ বারের সাক্ষাতে ভারত ১৫ বার জয় লাভ করেছে। আগামী ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে আবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ।””