ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৭ জুলাই) Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব: মির্জা ফখরুল Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ Logo ৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’ Logo পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারিতে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ, গেজেট প্রকাশ Logo ইরানে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে রেভল্যুশনারি গার্ডের ২ সদস্য নিহত Logo গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় শুরু হচ্ছে নতুন দফার আলোচনা Logo যশোরে বাসের ধাক্কায় পথচারী ও ভ্যানযাত্রীর মৃত্যু, চালক আটক Logo সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনে লং মার্চ হবে: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হুঁশিয়ারি নাহিদের

প্যাটারসন-বোশের তোপে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি ২১১ রানে

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

প্যাটারসন-বোশের তোপে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি ২১১ রানে।

একপ্রান্তে করবিন বোশ আর অন্যপ্রান্তে ড্যান প্যাটারসন। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসারের তোপে দুই সেশনের বেশি ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

সেঞ্চুরিয়নে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তাদের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২১১ রানে।

সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন প্যাটারসন। বোশ নিয়েছেন ৪ উইকেট। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কামরান ঘুলাম।

 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল পাকিস্তানের। শান মাসুদ ও সাইম আইয়ুব প্রথম ১৪ ওভারে দলকে বিপদমুক্ত রেখে ৩৬ রান এনে দেন। কিন্তু মাসুদের বিদায়ের পরই ঘটে বিপর্যয়। ৫৮ বলে ১৭ রান করে বোশের বলে মাসুদের বিদায়ের পর ২০ রানের ব্যবধানে পরবর্তী তিন উইকেট হারায় তারা। ৩৫ বলে ১৪ রান করে আইয়ুব আর ১১ বলে ৪ রান করে প্যাটারসনের শিকার হন বাবর আজম। কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন সাউদ শাকিল। ৬ বলে ৩ চারের মারে ১৪ রান করে তিনি বোশের বলে কট বিহাইন্ড হন।
 
 
বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন কামরান ঘুলাম। তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনের জুটিতে আসে ৮১ রান। দলীয় ১৩৭ রানে ঘুলামকে সাজঘরে ফেরান প্যাটারসন। ৭১ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে স্থায়ী হননি রিজওয়ানও। ৫ রানের ব্যবধানে তিনিও বিদায় নেন। ৬২ বলে ২ চারের মারে ২৭ রান করে তিনি প্যাটারসনের বলে ক্যাচ তুলে দেন।
 
সপ্তম উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সালমান আলী আঘা ও আমের জামাল। দুজনের ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন বোশ। ২৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করে বোল্ড হন জামাল। পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন  সালমানও। ৩৪ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ক্রিজে নেমে ২ বল খেলেই সাজঘরে ফিরে যান নাসিম শাহ। তাকেও শিকার করেন বোশ।
 
 
১৮৯ রানে ৯ উইকেট হারানো দলকে ২১১ রানে পৌঁছে দেন খুররাম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আব্বাস। তাদের ২২ রানের জুটি ভাঙেন মার্কো ইয়ানসেন। খুররাম ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হলেও আব্বার ২৮ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
 
 
 
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্যাটারসন-বোশের তোপে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি ২১১ রানে

আপডেট সময় ০৯:৫১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

প্যাটারসন-বোশের তোপে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি ২১১ রানে।

একপ্রান্তে করবিন বোশ আর অন্যপ্রান্তে ড্যান প্যাটারসন। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসারের তোপে দুই সেশনের বেশি ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

সেঞ্চুরিয়নে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তাদের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২১১ রানে।

সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন প্যাটারসন। বোশ নিয়েছেন ৪ উইকেট। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কামরান ঘুলাম।

 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল পাকিস্তানের। শান মাসুদ ও সাইম আইয়ুব প্রথম ১৪ ওভারে দলকে বিপদমুক্ত রেখে ৩৬ রান এনে দেন। কিন্তু মাসুদের বিদায়ের পরই ঘটে বিপর্যয়। ৫৮ বলে ১৭ রান করে বোশের বলে মাসুদের বিদায়ের পর ২০ রানের ব্যবধানে পরবর্তী তিন উইকেট হারায় তারা। ৩৫ বলে ১৪ রান করে আইয়ুব আর ১১ বলে ৪ রান করে প্যাটারসনের শিকার হন বাবর আজম। কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন সাউদ শাকিল। ৬ বলে ৩ চারের মারে ১৪ রান করে তিনি বোশের বলে কট বিহাইন্ড হন।
 
 
বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন কামরান ঘুলাম। তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনের জুটিতে আসে ৮১ রান। দলীয় ১৩৭ রানে ঘুলামকে সাজঘরে ফেরান প্যাটারসন। ৭১ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে স্থায়ী হননি রিজওয়ানও। ৫ রানের ব্যবধানে তিনিও বিদায় নেন। ৬২ বলে ২ চারের মারে ২৭ রান করে তিনি প্যাটারসনের বলে ক্যাচ তুলে দেন।
 
সপ্তম উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সালমান আলী আঘা ও আমের জামাল। দুজনের ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন বোশ। ২৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করে বোল্ড হন জামাল। পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন  সালমানও। ৩৪ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ক্রিজে নেমে ২ বল খেলেই সাজঘরে ফিরে যান নাসিম শাহ। তাকেও শিকার করেন বোশ।
 
 
১৮৯ রানে ৯ উইকেট হারানো দলকে ২১১ রানে পৌঁছে দেন খুররাম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আব্বাস। তাদের ২২ রানের জুটি ভাঙেন মার্কো ইয়ানসেন। খুররাম ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হলেও আব্বার ২৮ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।