বাংলাদেশ-উইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এক ইনিংসে চারটি রেকর্ডের জন্ম
মিরপুরের ধীরগতির পিচ নিয়ে সমালোচনা থামেনি, তবুও বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘটেছে রেকর্ডবহুল এক ইনিংস। এক ম্যাচেই তৈরি হয়েছে চারটি অনন্য রেকর্ড।
প্রথমত, ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো দল ইনিংসের পুরো ৫০ ওভার স্পিনারদের দিয়ে বল করিয়েছে। এই রেকর্ডটি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪৪ ওভার পর্যন্ত স্পিনারদের ব্যবহার করেছিল শ্রীলঙ্কা—তা-ও মাত্র তিনবার। বাংলাদেশের মাঠে এক ইনিংসে সর্বাধিক স্পিন বোলিংয়ের নতুন রেকর্ডও এটি। পূর্বে দেশে ৪০ ওভারের স্পিন বোলিং ছিল সর্বোচ্চ, যা একবার করে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ত, এই ম্যাচেই প্রথমবারের মতো নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনারদের দিয়ে ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলটি কেবল পাঁচজন স্পিনার ব্যবহার করেছে, কিন্তু দুই পেসার জাস্টিন গ্রিভস ও শেরফান রাদারফোর্ড বল করার সুযোগ পাননি এক ওভারও।
তৃতীয় রেকর্ডটি গড়েছেন পার্ট-টাইম স্পিনার লিক আথানেজ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এর আগে মাত্র চার ওভার বল করা এই স্পিনার বাংলাদেশ ম্যাচে করেছেন পুরো ১০ ওভার। তিনি ১৪ রান খরচে নিয়েছেন ২ উইকেট—বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কৃপণ বোলারের নতুন রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজের, যিনি ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ১৫ রান।
চতুর্থ রেকর্ডটি এসেছে বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনের ব্যাট থেকে। মাত্র ১৪ বলে ৩৯ রান করে তিনি খেলেছেন ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে—যা বাংলাদেশের হয়ে ৩০ বা তার বেশি রানের ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড। এর আগে এই তালিকায় শীর্ষে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। মাশরাফি ২০০৬ সালে বগুড়ায় কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ বলে ৪৪* রান করেছিলেন (স্ট্রাইক রেট ২৭৫.০০), আর সাকিব ২০১৪ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সমান সংখ্যক বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন।