ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবা সিদ্দিকি হত্যার পর নিরাপত্তা বৃদ্ধি সালমানের বাড়িতে

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ভারতের মহারাষ্ট্রের এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) নেতা তথা সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনের সাথে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে জানিয়েছে মুম্বাই  পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, এবার সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল বিষ্ণোই গ্যাং।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে বলিউড সুপাস্টার সালমান খানের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে মেনে নেওয়া হয়েছে, সিদ্দিকি খুনে তারা জড়িত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ওই সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর সালমানের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সালমান খান, আমরা এই লড়াই চাইনি। কিন্তু আপনার জন্য আমাদের ভাই প্রাণ হারিয়েছে। বাবা সিদ্দিকি এক সময় দাউদ ইব্রাহিমের সাথে কাজ করেছেন। এখন ভদ্র সেজেছিলেন। দাউদ এবং অনুজ থাপানের সাথে তার সম্পর্কই তার মৃত্যুর কারণ। কারো সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু সালমান খান বা দাউদের গ্যাংকে যারা সাহায্য করেন, তারা সাবধান! আমাদের কোনো ভাইয়ের গায়ে কেউ হাত দিলে, আমরা শাস্তি দেব। আমরা প্রথমে মারি না। প্রতিশোধ নিই।’

৬৬ বছরের বর্ষীয়ান নেতাকে শনিবার দশেরার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে গুলি করে খুন করা হয়। তিনজন দুষ্কৃতকারী গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ াুঠেছে। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

হরিয়ানার গুরমেল সিংহ এবং উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপের সাথে তৃতীয় জনকেও চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তার নাম শিব কুমার। তিনিও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। তার খোঁজ চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই তিনজন ছাড়াও আরও এক জন এই চক্রান্তের সাথে জড়িত। যিনি নেপথ্যে থেকে পরিকল্পনা করেছিলেন। তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই এখন জেল খাটছেন। কিন্তু তার গ্যাং সক্রিয় বাণিজ্যনগরীতে। কিছু দিন আগে সালমানের বাড়ির সামনে গুলি চলেছিল। সেই ঘটনাতেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।

সালমানের বাবা সেলিম খানকেও হুমকি দেওয়া হয় কিছু দিন আগে। সালমানের সাথে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিবাদ অনেক দিনের। সিদ্দিকি খুনের সাথে সেই বিবাদের সম্পর্ক রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
৪১ বার পড়া হয়েছে

বাবা সিদ্দিকি হত্যার পর নিরাপত্তা বৃদ্ধি সালমানের বাড়িতে

আপডেট সময় ০৬:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের মহারাষ্ট্রের এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) নেতা তথা সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনের সাথে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে জানিয়েছে মুম্বাই  পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, এবার সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল বিষ্ণোই গ্যাং।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে বলিউড সুপাস্টার সালমান খানের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে মেনে নেওয়া হয়েছে, সিদ্দিকি খুনে তারা জড়িত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ওই সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর সালমানের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সালমান খান, আমরা এই লড়াই চাইনি। কিন্তু আপনার জন্য আমাদের ভাই প্রাণ হারিয়েছে। বাবা সিদ্দিকি এক সময় দাউদ ইব্রাহিমের সাথে কাজ করেছেন। এখন ভদ্র সেজেছিলেন। দাউদ এবং অনুজ থাপানের সাথে তার সম্পর্কই তার মৃত্যুর কারণ। কারো সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু সালমান খান বা দাউদের গ্যাংকে যারা সাহায্য করেন, তারা সাবধান! আমাদের কোনো ভাইয়ের গায়ে কেউ হাত দিলে, আমরা শাস্তি দেব। আমরা প্রথমে মারি না। প্রতিশোধ নিই।’

৬৬ বছরের বর্ষীয়ান নেতাকে শনিবার দশেরার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে গুলি করে খুন করা হয়। তিনজন দুষ্কৃতকারী গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ াুঠেছে। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

হরিয়ানার গুরমেল সিংহ এবং উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপের সাথে তৃতীয় জনকেও চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তার নাম শিব কুমার। তিনিও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। তার খোঁজ চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই তিনজন ছাড়াও আরও এক জন এই চক্রান্তের সাথে জড়িত। যিনি নেপথ্যে থেকে পরিকল্পনা করেছিলেন। তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই এখন জেল খাটছেন। কিন্তু তার গ্যাং সক্রিয় বাণিজ্যনগরীতে। কিছু দিন আগে সালমানের বাড়ির সামনে গুলি চলেছিল। সেই ঘটনাতেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।

সালমানের বাবা সেলিম খানকেও হুমকি দেওয়া হয় কিছু দিন আগে। সালমানের সাথে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিবাদ অনেক দিনের। সিদ্দিকি খুনের সাথে সেই বিবাদের সম্পর্ক রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।